নাগপুরে সিরিজের শেষ ম্যাচেও অস্ট্রেলিয়া কে পাত্তা ই দিল না স্বাগতিক ভারত। যেন শ্রীলঙ্কায় যেখানে শেষ করছিল সেখান থেকে ই শুরু করল নিজ মাঠে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। শেষ ম্যাচ জয়ের পর ভারতের অধিনায়ক জানিয়েছেন এভাবে সিরিজ জয়ের ফলে তারা অনেক স্বস্তিতে আছে। এই জয় তাদের বিশ্বাসকে আরো দৃঢ় করবে। তিনি বলেন, ” এই সিরিজ শেষে বেশ ভাল লাগা কাজ করছে। এই জয় আমাদের বিশ্বাসকে দৃঢ় করবে। আমরা সব কৌশল কাজে লাগিয়েছি।”
এই সিরিজে চাপকে বার বার জয় করতে পারা ছিল অন্যতম বড় প্রাপ্তি। সিরিজের পাচ ম্যাচে যত বার তারা চাপে পড়েছে তার বেশির ভাগ সময় ই তারা চাপকে জয় করতে সক্ষম হয়েছে। এই চাপ কে জয় করা ভবিষ্যতে উপকারে আসবে। এই সিরিজের আগে ই ভারত স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাকে ওয়ানডে সিরিজে ৫-০ ব্যবধানে ধোবল ধোলাই করেছে, এই সিরিজও যেন তার পুনরাবৃত্তি হল। অধিনায়ক বিরাট কোহলী বলেন, ” আমরা অনেক বার চাপে পড়েছি এবং চার ম্যাচে আমরা চাপকে জয় করে ম্যাচ জিতে নিয়েছি। দল যেভাবে খেলেছে তাতে আমি খুশি। এই সিরিজে আমরা শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে যেভাবে খেলেছি তারই পুনরাবৃত্তি হয়েছে। আমরা প্রমাণ যে কোন দলের বিপক্ষে ই আমরা শক্তিশালী।”
ভারতের এই সিরিজ জয়ে টিম ম্যানেজমেন্টও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তারা খেলোয়ারদের প্রয়োজনীয় অনুপ্রেরণা দিয়ে ঠিক রেখেছে। সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে জয়ী হয়ে সিরিজ নিশ্চিত করার পাশাপাশি ভারতে আইসিসির পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষ স্থানে পৌছে যায়। ভূবেনশ্বর ও বুমরা অসাধারন বোলিং করেছেন। চতুর্থ ম্যাচে তাদের অনুপস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের একমাত্র জয় তুলে নেয়। তারা তাদের কার্যকারিতা যথেষ্ট ভাল ভাবে প্রমাণ করেছেন। ভারতীয় অধিনায়ক কোহলী বলেন, ” ৩-০ তে আমরা যখন সিরিজ নিশ্চিত করি তখন খেলোয়ারদের সঠিক ভাবে অনুপ্রেরণা ও পরিচালনা করা দরকার ছিল। আমাদের টিম ম্যানেজমেন্ট খুব ই কার্যকর ভাবে তাদের এই ভূমিকা পালন করেছে। তাদের লক্ষ্য ছিল ওয়ানডেরর পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে যাওয়ার এবং আমরা খুব ভাল ভাবে ই তা করতে পেরেছি। ভূবেনশ্বর ও বুমরা অসাধারন বোলার, তাদের মান অনেক ভাল। যখন ই আমরা ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়েছি তখন ই তারা আমাদের ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছেন। হার্দিক পান্ডিয়া একজন অসাধারন অলরাউন্ডার। দলের সবাই মিলে অনেক ভাল খেলেছে এবং অধিনায়ক হিসেবে আমার কাজ সহজ করে দিয়েছে।”