ভারত অস্ট্রেলিয়া পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডের শুরুটা ভারতের জন্য খুব খারাপ ভাবে হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ান পেসার নাথাল কোল্টার নাইলের তোপের ভারতের প্রথম সারির চার ব্যাটসম্যানের তিন জন ই যেন তাকে নিজেদের উইকেট বিলিয়ে দিলেন। অবস্থা একটা সময় এমন দাড়িয়ে ছিল যে ভারতের ইনিংস দুই শত হবে কিনা তা নিয়ে ই সন্দেহ দেখা দেয়। একটা পর্যায় ভারতের রান ছিল তিন উইকেটে এগারো। সেই অবস্থা দিয়ে মধ্যম সারির এবং শেষ সারির ব্যাটসম্যানরা মিলে ভারতকে একটি সন্মান জনক রানে নিয়ে যায়। শুরুতে যে ব্যাটিং ধ্বস নামে তা হতে দলকে বের করার প্রথম চেষ্টা করেন পাঁচ নাম্বারে নামা কেদার যাদব এবং ওপেনার রোহিত শর্মা। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ারর ফাদে পরে দ্রুত ই বিদায় নেয় রহিত শর্মা।
এরপরেও কেদার যাদব মহেন্দ্র সিং ধোনীকে সাথে নিয়ে ইনিংস মেরামতের কাজ চালিয়ে যান। কিন্তু চল্লিশ রান করে তিনিও ফিরে গেলে আবারো শুরু মহেন্দ্র সিং ধোনীর ক্যারিশমা। তার সাথে ছিলেন তরুণ অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া। এদুজনের ষষ্ঠ উইকেট জুট বিশ ওভারের মত অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের উইকেট শূণ্য রাখে। এদুজ কেবল বোলারদের উইকেট শূণ্য ই রাখে নি বরং সাথে সাথে তুলে নিয়েছে ১১৮ রানও। ধোনী ৭৯ রানে ও পান্ডিয়া ৮৩ রানে আউট হয়ে শতক করতে না পারার ব্যক্তিগত অর্জন ছুতে না পারলেও ভারতকে ২৮১ রানের একটি সম্মানজনক রানে নিয়ে যায়। এরপর বৃষ্টির কারনে খেলা বন্ধ হয়ে গেলে বৃষ্টি শেষে অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য নির্ধারিত হয় ২১ ওভারে ১৬৪ রান। টিম ইন্ডিয়া কেদার যাদব। মহেন্দ্র সিং ধোনী ও হার্দিক পান্ডিয়ার ব্যাটে যেই সূচনা করেছিল এরপর বোলারদের হাত ধরে ২৬ রানের জয় পায় ভারত।
ফলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ১-০ তে এগিয়ে যায় ভারত। ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলী তার দলের খেলা নিয়ে প্রশংসা করে বলেন, “টসের সময় আমরা বলেছি আমরা বড় ইনিংস করতে চাই।আমরা উইকেট হারিয়েছি কিন্তু কেদার যাদব এবং মহেন্দ্র সিং অসাধারন করেন। এরপর হার্দিক পান্ডিয়া এবং ধোনী তার স্বভাব সুলভ ফিনিং দেয়। আজকে একটি উদাহরন ছিল, শ্রীলঙ্কাতে একটি উদাহরন ছিল আমাদের মধ্যম সারির ও শেষ সারির ব্যাটসম্যানরা কত ভাল খেলে। বোলাররা বরাবরের মত বোলাররা ভাল খেলেছে। এটা খেলোয়াররা নিজেদের উপর বিশ্বাস দেয়। হার্দিক নিজের উপর বিশ্বাস রেখেছেন এবং তার ইনিংস খেলাকে পরিবর্তন করেছে। তার মাঝে তিন ধরনের গুন সমান ভাবে আছে, আমরা তাকে পেয়ে ভাগ্যবান। চাহাল খুব ই সাহসী এবং কোন অবস্থা ই না বলে না। ভুবেনেশ্বর ও বুমরাও অসাধারন এবং আমাদের প্রধান বোলার।”