গত ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচের পর উঠে গিয়েছে একাধিক প্রশ্ন। দলবদল ও স্ট্র্যাটেজিতে পরিবর্তনের ডাক দিয়েছেন সমর্থকরা। এই অবস্থায় চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে কি একাদশ নিয়ে নামবে কলকাতা নাইট রাইডার্স?
১. শুভমন গিল
এবারের আইপিএল-এ ওপেনিংয়ে সলিডিটি আনা ছাড়াও রান রেট বৃদ্ধিতেও যথেষ্ট উপযোগী ভূমিকা রেখেছেন শুভমন গিল।
২. রাহুল ত্রিপাঠী
গত ম্যাচে নিচের দিকে নামলেও দুর্দান্ত ক্যামিও ইনিংস খেলেন ত্রিপাঠী। ফলে ফর্মে থাকা এই ব্যাটসম্যানকে নিজের জায়গা অর্থাত ওপেনিংয়েই ফিরিয়ে আনবে কেকেআর ম্যানেজমেন্ট।
৩. নীতিশ রানা
বড় মাঠে ছয় ও চার মারার ক্ষমতা দখলকারী নীতিশ রানা অবশ্যই বড় রান পেতে চাইবেন দুবাইয়ে। যদিও এবারের আইপিএল-এ খুব একটা আহামরি কিছু করতে পারেননি, তবে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে রান করে নিজের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে রাখতে বদ্ধপরিকর এই তরুণ ব্যাটসম্যান।
৪. ইয়ন মর্গ্যান
গত ম্যাচে কার্যত একা হাতে দিল্লি ক্যাপিটালসের থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে এনেছিলেন মর্গ্যান। ফলে তিনি ফর্মেই রয়েছেন তা বলাই যায়।
৫. আন্দ্রে রাসেল
এখনও অবধি সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ভয়ংকর অলরাউন্ডার। কিন্তু চেন্নাই ম্যাচে তার ব্যাট ও বোলিংয়ের দিকেই তাকিয়ে থাকবে নাইট রাইডার্স সমর্থক ও টিম ম্যানেজমেন্ট।
৬. দীনেশ কার্তিক
অত্যন্ত খারাপ ফর্মে চললেও চার নম্বরে স্টেবিলিটি আনতে পারবেন দীনেশ কার্তিক। প্রয়োজনে ইনিংস ধরে রাখার সক্ষমতা রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক তথা উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানের।
৭. প্যাট কামিন্স
প্রথম ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে তার দুর্ধর্ষ ব্যাটিংয়ের পর কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিল নাইট সমর্থকরা। তবে পরের ম্যাচগুলিতে প্রথম স্পেলে যে আগুনে বোলিং করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা এই পেসার, তাতে তিনি তার বিশাল মূল্যের বেশ ভালোই প্রমাণ দেখিয়েছেন। কামিন্সের থেকে এরকমই পারফর্মেন্স আগামী দিনে চাইছে সমর্থকরা।
৮. সুনীল নারাইন
এই বছরের আইপিএল-এ ওপেনার হিসেবে অত্যন্ত খারাপ ফর্মে রয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা অলরাউন্ডার। যদিও বোলিংয়ের জোরেই তিনি থাকছেন প্রথম একাদশে।
৯. শিবম মাভি
কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে এই মরশুমে সবথেকে ধারাবাহিক বোলার হিসেবে উঠে দাড়িয়েছেন তিনি। প্রথম ম্যাচ থেকেই নিয়ন্ত্রিত লাইন ও লেংথ এবং উইকেট তুলে নেওয়ার সক্ষমতা থাকায় এই ম্যাচেও তিনি থাকছেন প্রথম একাদশে
১০. কমলেশ নাগারকোটি
গত ম্যাচে সেরকম পারফর্ম না করলেও তার প্রতি আস্থা রাখছে কেকেআর ম্যানেজমেন্ট। দুরন্ত বোলার হলেও ফিল্ডিংয়ের অসাধারণ নজির দেখিয়েছেন গত ম্যাচগুলিতে।
১১. বরুণ চক্রবর্তী
সারপ্রাইজ প্যাকেজ হিসেবে গত দুই ম্যাচে বেশ ভালো বোলিং করেছেন এই মিস্ট্রি স্পিনার। নারাইনের সাথে জুটি বেঁধে মাঝের ওভারগুলিতে প্রয়োজনীয় উইকেট তুলে নিতে পারেন তিনি।