গতকাল কলকাতার ইডেন গার্ডেনে চলতি আইপিএলের প্লে অফের এলিমিনেটর ম্যাচ অনুষ্ঠিত হল। এই ম্যাচে টসে জিতে রাজস্থান প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় কলকাতা নাইট রাইডার্স। রাজস্থানের কৃষ্ণাপ্পা গৌতমের বোলিংয়ের সামনে তাদের দুই ওপেনার খুব বেশি কিছু করতে পারেন নি। দ্রুত সুনীল নারিন এবং রবীন উথাপ্পাকে ফিরিয়ে দেন গৌতম। এরপর লিন এবং নীতিশ রানাও ফিরে যান দ্রুত। মাত্র ৮ ওভারের মধ্যেই কেকেআর ৫১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে। এখান থেকেই কেকেআরের ইনিংসকে এগিয়ে ইয়ে যাওয়ার দায়িত্ব এসে পড়ে অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক এবং তরুণ শুভমান গিলের কাঁধে।
শুভমান বেশ কিছু দুরন্ত শট মেরে অধিনায়ক দীনেশ কার্তিকের উপর থেকে চাপ সরিয়ে দেন। যদিও এরপর দ্রুতই আউট হয়ে যান তিনি। কিন্তু একদিক ধরে রেখে কার্তিক ৫৩ রান করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান। শেষ দিকে অলরাউন্ডার অ্যান্দ্রে রাসেল দ্রুত ২৫ বলে ৪৯ রান করে দলের রান কে ২০ ওভারে ১৬৯ পর্যন্ত পৌঁছে দেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থান শুরুটা দুরন্ত করলেও তাদের ওপেনার রাহুল ত্রিপাঠির আউট হয়ে যাওয়ার পর রান ওঠার গতি শ্লথ হয়ে পড়ে। এরপরই ম্যাচে ফিরে আসে কেকেআর বোলাররা। তাদের আঁটোসাঁটো বোলিংয়ের সামনে রাহানে এবং সঞ্জু স্যামসন রান করার চেষ্টা করলেও মাঝের ওভারে রান না ওঠায় শেশ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৪৪ রানই তুলতে পারে তারা।
এবং ২৫ রানে এই ম্যাচ হেরে যায়। রজস্থান রয়্যালসের হয়ে হাফ সেঞ্চুরি করেন সঞ্জু। পীযূষ চাওলা ২ উইকেট নেন। ম্যাচ শেষে কেকে আর অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক জানান, “আমার মনে হয় পরপর ৪টি ম্যাচ জেতা বেশ ভাল অনভূতি দেয়। বিশেষ করে এই ম্যাচটা কারণ আমরা চাপের ভেতর ছিলাম। কৃতিত্ব শুভমান গিলের। যখন ও ব্যাট করতে এল সমস্ত চাপই শুষে নেয়। ও আউট হওয়ার আগে ও বেশ কিছু ভাল শট খেলে যায় এবং আমার উপর থেকে চাপটা কমিয়ে দেয়। এই ম্যাচে, এটা পুরোটাই ছিল অ্যাটিটিউডের ব্যাপার, এবং বিশ্বাস করা আপনি কতটা পেতে পারেন”।
তিনি আরও জানান, “এই ধরণের কঠিন ম্যাচে, এটা কখনওই সমতুল্য স্কোরের ব্যাপার নয়; এটা পুরোটাই হল আপনি বিপক্ষের উপর কতটা প্রেসার চাপিয়ে দিতে পারছেন। টাচ উড, বোলাররা তাদের খেলাটাকে বের করে এনেছে। আমরা ভালই ফিল্ডিং করেছি এবং আজকেও, যেটা দেখে ভাল লাগছে। ওরা (রাজস্থান রয়্যালস) সবসময় আউট অফ দ্য বক্স গিয়ে ভাবে। ওরা একটা শর্ট লেগ রেখে ব্যাটসম্যানের উপর চাপ বাড়াচ্ছিল। ওরা অধিনায়কের ভাবনা পেয়েছে। আপনার প্রয়োজন নিজের খেলা এবং নার্ভ ধরে রাখা। এখান থেকে প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। পরের ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ দুটি দলই খুব ভাল যারা প্রতিদ্বন্ধিতা করবে”।