এতদিন যুবরাজ সিংয়ের পাশাপাশি তিনিই ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের সর্বকালের সেরা ফিল্ডার।এবার উত্তরপ্রদেশের সেই নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার মুহাম্মদ কাইফকে দেখা যাবে এক অন্য ভূমিকায়।আগামী ৫ এপ্রিল থেকে শুরু হতে চলা সামনের আইপিএলে মুহাম্মদ কাইফকে গুজরাট লায়ন্সের সহকারি কোচের ভূমিকায় দেখতে পাওয়া যাবে।
২০১৭ আইপিএল-র ক্রীড়াসূচী প্রকাশিত! দেখে নিন…
গুজরাট লায়ন্সের অধিনায়ক হিসেবে এই মুহূর্তে দায়িত্বে রয়েছেন কাইফেরই এক সময়ের জাতীয় এবং ঘরোয়া ক্রিকেট দলের সতীর্থ সুরেশ রায়না। গত আইপিএলে আত্মপ্রকাশ ঘটা এই কুড়ি-বিশের দলটি নজরকাড়া পারফরম্যান্স করে একযোগে সবার নজর টেনেছিল।আর তাই এবারে আরও ভালো ফলাফল করার লক্ষ্যে গুজরাট লায়ন্সের কোচ প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান ব্যাড হজের সঙ্গে সহকারি কোচ হিসেবে জুড়ে দেওয়া হল কাইফকে।
২০০০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচে ভারতীয় দলে অভিষেক হয় মুহাম্মদ কাইফের। এবং ২০০২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তাঁর।কভারে স্পেশালিস্ট এই ফিল্ডারকে অনেকেই ভারতের সর্বকালের সেরা ফিল্ডার হিসেবে চেনেন সবাই।যদিও নিজের ক্রিকেট কেরিয়ারের শুরু থেকেই কাইফ ভালো খেলা শুরু করলেও, হঠাৎই হারিয়ে যান তিনি। এরপর তাঁকে আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালস, কিংস ইলেভেন পঞ্জাব, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে খেলতে দেখা যায়। ২০০৮ সালে দলে তাঁর উপস্থিতিতে আইপিএলের শিরোপা জেতে রাজস্থান রয়্যালস।
গত আইপিএলে প্রথমবারের মত যুক্ত হয়েছে গুজরাট লায়ন্স দলটি। গ্রুপ পর্বে ভালো খেলেও প্লে-অফে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে হেরে প্রতিযোগিতা থেকে ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, অ্যারন ফিঞ্চ, জেমস ফকনার, রবীন্দ্র জাদেজাদের মতো তারকা সমৃদ্ধ দলটি। যদিও এবারে তারা নতুন এই সহকারি কোচের ভরসায় প্রথমবারের মতো আইপিএলের শিরোপা জেতার আশায় মসগুল হয়েছে।উল্লেখ্য, ভারতের হয়ে ১৩টি টেস্ট ও ১২৫ টি ওয়ানডে ম্যাচে খেলতে দেখা গিয়েছে মুহাম্মদ কাইফ।