বর্তমান ভারতীয় দলে অন্যতম এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য যুবেন্দ্র চাহাল। বিশেষ করে সংক্ষিপ্ত ফরমেটের ক্রিকেটে তার প্রয়োজনীয়তা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে ব্যাটসম্যানদের বোকা বানানোর জন্য তিনি বিখ্যাত। আগামী ইংল্যান্ড সিরিজকে সামনে রেখে মিডিয়ায় কথা বলেছেন চাহাল। জানিয়েছেন নিজের পরিকল্পনার ব্যাপারে।
কিছুদিন আগেই ঘরের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি টোয়েন্টিতে মাত্র ২৫ রানে তুলে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। যার সহায়তায় ৭৫ রানে ম্যাচ জিতে ভারত এবং সিরিজ জিতে ২-১ ব্যবধানে। ইংল্যান্ড সিরিজকে সামনে রেখে অতীতের সুখ স্মৃতি স্মরণ করছেন এই স্পিনার। তিনি বলেন, “এটি একটি স্মরণীয় স্পেল আমার জন্য। আমি এখনো এটার কথা স্মরণ করি এবং ভিডিও গুলো দেখি। টি২০ ক্রিকেটে উইকেট নেয়া সহজ নয়। আমি স্নায়ুচাপে ভুগছিনা বরং আমি উত্কণ্ঠিত। আগেও খেলছি। মানে অতীতেও তাদেরকে পরাস্ত করেছি।”
ইংল্যান্ড সিরিজকে সামনে রেখে অধিনায়ক কোহলির সাথে জয়ের জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা করেছেন বলে জানিয়েছেন চাহাল। “বিরাট ভাই এবং আমি আমাদের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আমাদের একটি ভাল পরিকল্পনা আছে এবং মাঠে আমরা এর প্রয়োগ করবো,” তিনি যোগ করেন।
“ইংল্যান্ড সিরিজের জন্য সত্যিই আমি অনেক পরিশ্রম করেছি। তাদের বিপক্ষে আমি হোম সিরিজে খেলেছি। দেশের বাইরে গিয়ে খেলাটা একটু কঠিন হবে কিন্তু আমি প্রস্তুত। বেঙ্গালুরুতে যেভাবে খেলেছি ঠিক ওরকম পারফরমেন্স করতে চাই। বেঙ্গালুরুর কথা এখনো আমার মনে আছে। আমি চেষ্টা করবো বেঙ্গালুরুতে যা করেছি তার পুনরাবৃত্তি করতে। বোলিংয়ে আমি বেশ কয়েকটি নতুন বৈচিত্র আবিষ্কার করেছি। তাদের বিপক্ষে আমি এর প্রয়োগ করবো। আমার অস্ত্রাগারে নতুন দুইটি ডেলিভারি আছে। কোহলি এ ব্যাপারে অবগত।,” তিনি আরো বলেন।
এদিকে এবি ডি ভিলিয়ার্সের অবসর গ্রহণ নিয়েও কথা বলেছেন চাহাল। তিনি বলেন, “তার অবসর ঘোষণার আগের দিন আমি তার সাথে কথা বলেছিলাম। পরের দিন, যখন সংবাদটি শুনলাম, আমি খুবই বিস্মিত হয়ে গিয়েছিলাম। কারন আমি এখনো তার মধ্যে অনেক ক্রিকেট দেখতে পাচ্ছি। সে শারীরিক ভাবে যোগ্যতম ক্রিকেটারদের মধ্যে অন্যতম। আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম এবং সে বলল, ‘আমি ক্লান্ত’। তিনি অবশ্যই অনেক চিন্তা ভাবনার পরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমি তার সিদ্ধান্তকে সম্মান করি। আশা করবো তিনি আগামী মৌসুমে আরসিবির হয়ে খেলবেন।”
ড্রেসিং রুমে ভিলিয়ার্সের সাথে দারুণ অভিজ্ঞতা আছে বলেও জানান তিনি। “ড্রেসিং রুমে আমরা একসাথে অনেক সময় কাটিয়েছি। অনেক মজা করার পাশাপাশি, তিনি তার অনেক অতীত অভিজ্ঞতাও শেয়ার করেছেন আমার সাথে। মাঠ ও এবং মাঠের বাইরে তিনি অনেক পথ দেখিয়েছেন আমাকে। আরসিবির ব্যাটিংয়ের বিরাট ভাই ও ডি ভিলিয়ার্স আমাদেরকে উইকেট সম্পন্ধে জানাতেন এবং বলতেন বোলিং প্লান কেমন হবে। যখনই আমি ভারতের হয়ে ভালো খেলি তখনই তিনি আমাকে বার্তা পাঠান এবং অভিনন্দন জানান। তিনি ভিডিও কল ও চ্যাটিংয়ের মাধ্যমে আমাকে অনেক পরামর্শ দিয়েছেন,” তিনি যোগ করেন।