গতকাল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব বনাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ম্যাচে তৈরি হল ইতিহাস। নতুন নিয়ম আসার পর এই প্রথমবার কোনও ম্যাচে দুই দুইবার সুপার ওভারের খেলা হল, যাতে শেষ অবধি জয় লাভ করে টুর্নামেন্টে নিজেদের অবস্থান বজায় রেখেছে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব।
আর কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের কিউই অলরাউন্ডার জিমি নিশাম এই ধরণের সুপার ওভারে কার্যত অভ্যস্ত। গত বছর নিউজিল্যান্ডের হয়ে বিশ্বকাপের ফাইনাল থেকে শুরু করে অসংখ্য সুপার ওভারের স্বাক্ষী থেকেছেন নিশাম। এবারের আইপিএল এও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে সুপার ওভার দেখেছেন নিশাম। কিন্তু সেই ম্যাচে হারের সম্মুখীন হয়েছিল পাঞ্জাব। আর আবারও গতকালের এই দুই খানা সুপার ওভার।
এই নিয়ে নেটিজেনরা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন তুলেছেন জিমি নিশামের কাছে, কিভাবে এতগুলি সুপার ওভারের চাপ সামলে রাখেন কিউই এই অলরাউন্ডার? টুইটারে এই প্রসঙ্গেই এক নেটিজেন প্রশ্ন তুলেছেন, “আমি ভাবি কিভাবে জিমি নিশাম নিজের স্নায়ু ঠান্ডা রেখেন এই ধরণের রোমাঞ্চকর ম্যাচে। দয়া করে এই নিয়ে আমাদের কিছু টিপস দিন নিশাম।” আর এর জবাবে বেশ ভয়ংকর উত্তর দেন নিশাম। নেটিজেনের সেই টুইটের জবাবে নিশাম লিখেছেন, “ভিতর থেকে আমি মারা গিয়েছি।”
I am dead inside https://t.co/5Yc4OkDStY
— Jimmy Neesham (@JimmyNeesh) October 18, 2020
বলা বাহুল্য, গত বছরের বিশ্বকাপের পর থেকে এখনও অবধি নিউজিল্যান্ডের সুপার ওভারের ভাগ্য একেবারেই ভালো নয়। মাত্র একটি সুপার ওভার তারা জিতেছেন এখনও অবধি, আর তাও আবার গত বছরের বিশ্বকাপ জয়ী ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হোম সিরিজে। আর সেই সকল সুপার ওভারেই ছিলেন নিশাম। ফলে সুপার ওভারে পরপর হার যেন তার মধ্যেকার সেই উত্তেজনাকেই মেরে ফেলেছে, তাই বলতে চাইলেন কিউই এই অলরাউন্ডার। আর এবার কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে দুই ম্যাচে তিন তিনখানা সুপার ওভারের স্বাক্ষী থেকে গেলেন নিশাম।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে জেতা ম্যাচটা সুপার ওভারে নিয়ে গিয়ে হেরেছিল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। কিন্তু এবার দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করে চার বারের আইপিএল জয়ী ফ্র্যাঞ্চাইজি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে দুটি সুপার ওভারে হারাল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। প্রথমে ব্যাট করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স তুলেছিল ১৭৬ রান। শেষের দিকে ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার কাইরন পোলার্ড এবং অসি পেসার নাথান কুল্টার নাইলের ক্যামিওতে এই রান তুলতে পেরেছিল মুম্বই। জবাবে কে এল রাহুলের দুরন্ত ইনিংস সত্ত্বেও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ১৭৬ রানই তুলতে পারে।
এরপর সুপার ওভারে মুম্বইয়ের হয়ে দুর্ধর্ষ বোলিং করেন জসপ্রীত বুমরাহ, মাত্র পাঁচ রানে আটকে দেয় পাঞ্জাবকে এবং নিকোলাস পুরান ও কে এল রাহুলের উইকেটও নেন তিনি। জবাবে রোহিত শর্মা ও কুইন্টন ডি কককে একেবারে বেঁধে রাখেন মহম্মদ শামি। মাত্র পাঁচ রানই করতে পারেন তারা। এর ফলে নতুন নিয়ম অনুযায়ী আবারও সুপার ওভার হবে। এরপর মুম্বইয়ের হয়ে কাইরন পোলার্ড দুরন্ত ব্যাটিং করে ১১ রান তোলেন, তার জবাবে ক্রিস গেইল ও মায়াঙ্ক আগরওয়াল মাত্র চার বলে সেই প্রয়োজনীয় রান তুলে নেন।