বিরাট কোহলি,এই একজন সব থেকে বড় বাধা। এই একজনই দাঁড়িয়ে গেলে পাহাড়ের মতো চাপ মাথায় এসে পড়ে ইংল্যান্ডের। ইংল্যান্ডের বোলাররা ভালমতো জানেন, ৭০ শতাংশ কাজ বিরাট কোহলিকে আউট করতে পারলেই হয়ে যাবে। তাই অ্যান্ডারসন-ব্রডরা এখন কোহলির আউট নিয়েই যাবতীয় ভাবনা-চিন্তা করছেন।
২০১৪ ইংল্যান্ড সফরের বিরাট আর ২০১৮-র বিরাটের মধ্যে বিস্তর ফারাক। এখন তিনি আগের থেকে অনেক বেশি পরিপক্ক। সেটা প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৪৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেই বুঝিয়ে দিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক। ইংল্যান্ডের মাটিতে প্রথম সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় ইনিংসেও ভারতীয় ইনিংস টেনে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছেন বিরাট। ফলে ফর্মে থাকা বিরাটকে নিয়ে যে ইংলিশ বোলারদের টেনশন তো থাকবেই,এটাই স্বাভাবিক।
তবে এসবের মাঝে নিজেদের কৌশলের কথা বলছিলেন জেমস অ্যান্ডারসন। ইংলিশ পেসার বলছেন, ”সোজা কথায় বললে, আমাদের আর মাত্র পাঁচটা উইকেট চাই। তা হলেই সব কথার শেষ। আর এই পাঁচটা উইকেচ আমাদের খুব তাড়াতাড়ি তুলে নিতে হবে। না হলে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা সেট হয়ে গেলে আমাদের সমস্যা বাড়বে। চতুর্থ দিনের প্রথম ১৫-২০ ওভারের মধ্যে আমাদের আরও বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে হবে। এই পাঁচটা উইকেট তোলাই এখন আমাদের মূল লক্ষ্য।”
ইতিমধ্যে ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। ভারত এখন ১১০-৫,প্রয়োজন আরও ৮৪ রান। সব থেকে বড় কথা, বিরাট কোহলি এখনও ক্রিজে রয়েছেন। ফলে ইংলিশ বোলাররা ভালমতোই জানেন, জয় আর তাঁদের মধ্যে এখন চিনের প্রাচিরের মতো দাঁড়িয়ে রয়েছেন বিরাট কোহলি। সেই পাঁচিল ভাঙতে পারলেই জয়ের চাবি পেয়ে যাবেন তাঁরা। অ্যান্ডারসন বলছেন, ”টেস্ট ম্যাচটা এখন একটা উত্তেজক বিন্দুতে এসে দাঁড়িয়েছে। এমন জায়গা থেকে ম্যাচটা জিততে পারলে আমরা স্পেশাল কিছু একটা করব। আর ম্যাচটা জিততে হলে সবার আগে আমাদের কোহলিকে তুলে নিতে হবে। তাই বিছানায় ঘুমোতে যাচ্ছি বিরাটকে আউট করার স্বপ্ন নিয়ে। ঘুমিয়েও ওকে আউট করার স্বপ্নই দেখছি। বিরাটকে আউট করলেই আমাদের জয় প্রায় নিশ্চিত।”
অ্যান্ডারসন আরও বলেন, ”২১ রানে ওকে(বিরাট কোহলি) আমি তুলে নিতে পারতাম। কিন্তু সুযোগ ফস্কে গেল। তখন আউট হয়ে গেলে ওকে নিয়ে চারপাশে এত প্রশংসা কিন্তু আর হত না। বিশ্ব ক্রিকেটে কোনও ব্যাটসম্যানই অতুলনীয় নয়। যে কোনও ব্যাটসম্যানকে আউট করা যায়। বিরাটকে এই টেস্টে যেভাবে বল করেছিল তাতে আমি সন্তুষ্ট। ”
বোলার টম কুরানের পর “ব্যাটসম্যান কুরান”কে নিয়েও প্রশংসা শোনা গেল অ্যান্ডারসনের মুখে। বলছিলেন, ”আমি ওকে বোলার হিসাবেই চিনতাম। তবে ও দেখছি এখন ব্যাট হাতেও আমাদের অবাক করে দিচ্ছে। কুরানের বয়স অনেক কম। এখনও অনেক দূর যাবে। আসল কথা হল ও প্রতিভাবান। আর ওর প্রতিভা শুরু থেকেই সঠিক পথে পরিচালিত হয়েছে।”