বর্তমান সময়ে ভারতীয় দলের তারকা অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা দলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছেন। যদি কনকাশনের বিষয়টিকে সরিয়ে রাখা হয় তো এখনও পর্যন্ত এবারের অস্ট্রেলিয়া সফর রবীন্দ্র জাদেজার জন্য যথেষ্ট ভালো গিয়েছে। চোটের পর দ্বিতীয় টেস্টে পাওয়া সুযোগে রবীন্দ্র জাদেজা যথেষ্ট ভালো ক্রিকেট খেলেছেন। দলের হয়ে জাদেজা একজন ম্যাচ উইনারের ভূমিকা পালন করেছেন। জাদেজা দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫৭ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলে অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ গড়েছিলেন। এছাড়াও তিনি বল হাতেও ৩টি উইকেট নিয়েছিলেন। ইন্টারেস্টিং বিষয় হল জাদেজা সিডনি টেস্টে একটি রেকর্ডের ভীষণই কাছে রয়েছেন।
২০০০ রান আর ২০০ উইকেটের ডবল হাসিল করার সুযোগ
জাদেজা এখনও পর্যন্ত টেস্ট কেরিয়ারে বল আর ব্যাট, দুটিতেই দলের হয়ে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ যোগদান দিয়েছেন। ১৩ ডিসেম্বর ২০১২য় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নাগপুর টেস্টে ডেবিউ করা সৌরাষ্ট্রের ৩২ বছর বয়সী অলরাউন্ডার ভারতের হয়ে ৫০টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। এই ৫০টি টেস্টে জাদেজা ব্যাটিংয়ে ৩৫.৬৬ র দুর্দাত গড়ে মোট ১৯২৬ রান করেছেন। এর মধ্যে তিনি ১টি সেঞ্চুরি আর ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ হাফসেঞ্চুরি করেছন। অন্যদিকে বোলিংয়েও এই সিনিয়র অলরাউন্ডার দুর্দান্ত প্রদর্শন করে ৫০টি ম্যাচে ২৪.৪৮ এর ভালো গড়ে এবং ২.৪৩ এর সস্তা ইকোনমি রেটে ২১৬টি উইকেট নিয়েছেন।
জাদেজার আগে ৪জন ভারতীয় ক্রিকেটার হাসিল করেছেন এই কৃতিত্ব
জাদেজার আগে ৪জন ভারতীয় ক্রিকেটার এই রেকর্ড নিজেদের নামে করেছেন। প্রাক্তন মহান অলরাউন্ডার কপিলদেব, তারকা স্পিনার অনিল কুম্বলে, প্রাক্তন অফ স্পিনার হরভজন সিং আর বর্তমান ভারতীয় দলের অলরাউন্ডার রবিচন্দ্রন অশ্বিন এর আগে টেস্ট ক্রিকেটে ২০০০ রান করার পাশাপাশি ২০০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন।
কপিল দেব নিজের পুরো টেস্ট কেরিয়ারে ৫২৪৮ রানের সঙ্গে বল হাতে ৪৩৪টি উইকেট নিয়েছেন। অনিল কুম্বলে ২৫০৬ রান আর ৬১৯টি উইকেট, হরভজন সিং ২২২৫ রান আর ৪১৭টি উইকেট আর রবিচন্দ্রন অশ্বিন এখনও পর্যন্ত নিজের কেরিয়ারে ব্যাট হাতে ২৪১৮ রান আর বল হাতে ৩৭৫টি উইকেট নিয়েছেন।
বর্তমানে ১-১ ফলাফলে রয়েছে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি
ভারত আর অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে তৃতীয় টেস্ট ৭ জানুয়ারি থেকে সিডনির এমসিজি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে খেলা হবে। প্রথমে অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়া আর দ্বিতীয় টেস্ট মেলবোর্নে ভারতীয় দলের জেতার পর ৪ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ সমতায় রয়েছে।
সিডনি টেস্ট দুই দলের নজর ম্যাচ জিতে সিরিজে ২-১ এগিয়ে যাওয়ার দিকে থাকবে। তবে তথাকথিত বায়োবাবল প্রটোকল ভাঙার বিতর্কে তৃতীয় টেস্টের গুরুত্ব দুই দলের কাছে বেড়ে গিয়েছে। এখন এটা দেখা ইন্টারেস্টিং হবে যে কোন দল চাপের মুখে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারে আর সিরিজে লীড নিতে সফল হয়।