ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দলে তাঁর জায়গা হয়েছিল এক পেশাদার সিম বোলার হিসেবে। তাঁর আগুন ঝড়ানো বেশ কিছু স্পেল হাসি ফুটিয়েছিল দলের অধিনায়কের মুখে। বোলার থেকে ধীরে ধীরে পাকা অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই ভূমিকায়ও ভাল প্রদর্শণ করা। তারপর যেন ভারতীয় জাতীয় দলের তালিকা থেকে হঠাৎ মুছে যায় ইরফান পাঠান। আইপিএলের মাধ্যমে কিছুটা হলেও নিজেকে লাইমলাইটে রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু এবারে আইপিএলেও তাঁকে কোনও ফ্রাঞ্চাইজি নেয়নি।
মিচেল মার্সের কল্যাণে আইপিএলে পুনের জার্সি গায়ে দেখা যেতে পারে ইরফান পাঠানকে
আক্ষরিক অর্থে ক্রিকেটের লাইমলাইট থেকে সরে গেলেও কোনও আক্ষেপ নেই বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারের। কারণ, নিজের ঘরোয়া দলের অধিনায়ক ও মেন্টর হয়ে বেশ ভালই আনন্দে আছেন তিনি।
তাঁর নেতৃ্ত্বে বিজয় হাজারে ট্রফির প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে বেশ ভাল পারফর্ম করেছে বরোদা। শুধু অধিনায়ক হিসেবেই নয়, জুনিয়র ক্রিকেটারদের পথ দেখানোও তাঁর কর্তব্য। পাঠান বলেন, “এটাই উচিত সময় বরোদা ক্রিকেট ও যুব ক্রিকেটারদের কিছু দেওয়া। আমার খুব ভাল লাগছে এই সমস্ত খুঁদে ক্রিকেটারদের সঙ্গে সময় কাটাতে। তাদের মেন্টর হিসেবে তাঁদের কিছু ক্রিকেটের কৌশল শেখাতে।”
মাঠে ফিল্ড সাজানো থেকে শুরু করে জুনিয়র ক্রিকেটারদের ভাল খেলার দায়িত্ব নিয়ে পাঠান এখন বেশ ব্যস্ত রয়েছেন। নিজের প্রদর্শন তো বটেই, নেটের ভিতরে দলের অন্যান্য ক্রিকেটারদের কোচও বোধহয় তিনি নিজেই।
বিজয় হাজারে ট্রফির সেমিফাইনালে তামিলনাডুর বিরুদ্ধে আগামী ১৬ই মার্চ দিল্লির ফিরোজ শাহ স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে বরোদা। প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালের পর তাঁদের প্রতি প্রত্যাশার চাপ বেড়েছে অনুরাগীদের। কীভাবে সামলাবেন এই চাপ? পাঠান বলে, “এটা সত্যই কঠিন। প্রতিটা ধাপেই প্রতিযোগীতা আরও কঠিন হচ্ছে। তবে আমারা নিশ্চিত যে এভাবেই বরোদার ফর্ম বজায় রাখতে পারব।”