রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর আর সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের মধ্যে ৪ মে হওয়া ম্যাচে ফেমাস হওয়া আরসিবির ফ্যান দীপিকা ঘোষ ইনস্টাগ্রামে একটি ভীষণই ইমোশনাল পোষ্ট শেয়ার করেছেন। তিনি লিখেছেন যে কিভাবে তার ব্যাপারে মিথ্যে খবর ছড়ানো হচ্ছে, আসুন আমরা আপনাদের সেই পুরো পোষ্টের ব্যাপারে জানাই।
এখানে দেখুন দীপিকা ঘোষের সেই পোষ্ট
আমার নাম দীপিকা ঘোষ, আর সম্ভবত এটাই এমন একটা কথা যা আমার ব্যাপারে বলা হচ্ছে
আমি দীপিকা ঘোষ আর সম্ভবত এটাই এমন একটা কথা যা আমার ব্যাপারে বলা হচ্ছে, যা কিনা ১০০ শতাংশ সত্যি। এই সমস্তই শনিবার (৪ মে) আইপিএলের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর আর হায়দ্রাবাদের ম্যাচের পর শুরু হয়েছে। আমি বেশ কয়েক বছর ধরে ব্যাঙ্গালুরুর ম্যাচ দেখার জন্য যাচ্ছি। ব্যাঙ্গালুরু দলের ম্যাচ দেখা, চিয়ার করা আর সাপোর্ট করা আমাদের পারিবারিক পরম্পরা হয়ে গিয়েছে। যখন আময়া ৪মে ম্যাচে জন্য যাই তো আমি আলাদা কিছু হওয়ার আশা করিনি। আমি কোনোভাবেই পরচিতি পেতে চাইনি। আমি জানতেও পারিনি কতবার ক্যামেরায় দেখানো হয়েছে। আমি কোনো সেলিব্রিটি নই। আমি একজন সাধারণ মেয়ে যে ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলাম। আমি এই ধরণের অ্যাটেনশনের জন্য কিছুই করিনি। স্ক্রীনে দেখানোর পর কেউ ধ্যান দেয় না, আমিও এমটনটা চাইনি।
View this post on InstagramA post shared by deepika (@deeghose) on May 4, 2019 at 12:51pm PDT
গর্ব করার বেশ কিছু কারণ আছে। আমি দয়ালু, একজন শিল্পী। আমি একজন মেহনতি মহিলা। আমি ভাল পড়াশুনা জানা মেয়ে। যথেষ্ট দুনিয়া দেখেছি, বন্ধু আর পরিবারের কাছ থেকে অনেক ভালবাসা পেয়েছি। আমার কাছে অনেক প্রতিভা আছে, একজন স্টাইলিশ হিসেবে একজন ডান্সার হিসেবে একজন টিচার হিসেবে আর একজন বিজনেশ ওম্যান হিসেবে আমি নিজেকে প্রমান করেছি। আমি কোনোভাবেই টিভি আর আইপিএল ম্যাচ চলাকালীন দেখানোকে অ্যাচিভমেন্ট মনে করিনা। বেশ কিছু মানুষ আমাকে জিজ্ঞাসা করেছেন আমার জীবনে কি পরিবর্তন হয়েছে। সত্যি বলতে কি কিছুই বদলায়নি। খালি একটা জিনিস যা বদলে গিয়েছে আর তা হলে আমার ইনস্টাগ্রামের ফলোয়ারের সংখ্যা। এই ব্যাপারে আমি আপনাদের সকলের মতই শকড।
আপনাদের এই ভালবাসার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। কিন্তু আমি কোনো কারণ ছাড়া নেগেটিভিটিতে সমস্যা রয়েছি। জীবনে আমি এর চেয়ে সমস্যায় কখনো পড়িনি। এত ড্রামা, আর মানসিক টর্চার কখনো ভোগ করিনি। আমি স্বয়ং কনফিউজ যে মানুষ আমার নাম আর আমার প্রোফাইল কিভাবে খুঁজে পেল। আমার পরিচিতি, আমার প্রাইভেসি আর পুরো জীবন কিছু সময়ের মধ্যেই হ্যাক হয়ে গিয়েছে। এক রাতের মধ্যে এত ফলোয়ার্স বেড়ে গিয়েছে, যার মধ্যে বেশিরভাগই পুরুষ।ওরা এই প্ল্যাটফর্মের ভীষণই খারাপ ব্যবহার করেছেন। আমার জন্য খারাপ কথা বলেছেন। এর চেয়েও সমস্যায় ফেলার মত কথা হল এটাই যে মহিলারাও আমাকে ভাল মন্দ কথা বলেছে। আমার ব্যাপারে না জেনেই কেউ এত দ্রুত আর এত ক্রুরভাবে কিভাবে কিছু বলতে পারে। আমি আপনাদের মতই একজন।
View this post on InstagramA post shared by deepika (@deeghose) on Oct 5, 2018 at 6:28am PDT
দুনিয়ায় একে অপরের সাপোর্ট আর সঙ্গে দেওয়া আর মহিলাদের ভীষণই প্রয়োজন। আমি অবাক কিভাবে আমাকে জাজ করা হয়েহচে, মানুষ আমার জন্য খারাপ কথা বলেছে, তাও আমার কোনো কথা না শুনে। থামুন আর একটু ভাবুন যে একজন মেয়ের জন্য এই ধরণের অনিচ্ছাকৃত অ্যাটেনশন কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে। বেশ কিছু মানুষ আমাকে প্রশ্ন করেছেন যে তাদেরকেয়ামার ফলোকরা উচিৎ– আর আপনাদের প্রশ্নও সঠিক। তো এখন যখন এমনটা হয়ে গিয়েছে, তো আমি এর মধ্যে কিছুটা সৎ, মিনিংফুল আর দুর্দান্ত হতে চলেছি। হ্যাঁ আমি #দ্য আরসিবি গার্ল। কিন্তু আমার পরিচিতি তার চেয়েও ওপরে।