আইপিএলের আঙিনায় ফের বেটিংয়ের থাবা। নতুন আইপিএলের গায়েও বেটিংয়ের কালো ছাপ। ২০১৩ সালের আইপিএল কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে থাকা বেশ কয়েক’জনকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি এদিন তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন করলো সিবিআই। দু’জন বুকির পাশাপাশি আইপিএল ম্যাচ ফিক্সিংয়ের তদন্তে যুক্ত থাকা দুই ইডি আধিকারিকের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হল। এর মধ্যে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ নামটি হল জে পি সিং। ইডি-র এই প্রাক্তন কর্তার বিরুদ্ধে ফিক্সিং কাণ্ডে তদন্ত করার সময়ে মোটা টাকার ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। একই অপরাধে জে পি সিংয়ের সঙ্গে ওই দফতরের তাঁর অধঃস্তন ২০০০ সালের ব্যাচের অফিসার সঞ্জয় কুমারকেও গ্রেফতার করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
ফের কালিমালিপ্ত হল আইপিএল, বেটিংয়ে জড়াল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও কেকেআরের নাম
বিমল আগরওয়াল ও চন্দ্রেশ পটেল নামে দুই বুকিকে এর আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এই তদন্তে সিবিআই আরও তিন জন বুকিকে গ্রেফতার করে ছিল। এদিন এক বিজ্ঞপ্তিতে সিবিআই জানায়, “আইপিএল বেটিং কেলেঙ্কারির তদন্তের দায়িত্বে থাকা প্রাক্তন ইডি কর্তা জে পি সিং তদন্ত বিপথে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিপুল পরিমাণে ঘুষ নিয়েছেন অভিযুক্তদের কাছ থেকে। পাশাপাশি বিভিন্ন তদন্তে অভিযুক্তদের বাঁচাতে তিনি বড় অঙ্কের ঘুষ নিয়েছেন।” এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদের সিবিআই কোর্ট জানিয়ে দেয়, এই দু’জন ইডি আধিকারিক স্পর্ট ফিক্সিং কাণ্ডের তদন্তের অভিমুখ বিপথে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা করায় তাদের বিরুদ্ধে আইপিসি-র ধারায় চার্জ গঠন করা হবে।
সিবিআই সূত্রের খবর, ঘুষ নেওয়ার জন্য একটা চক্র চালাতেন জে পি সিং। বেটিং কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া দুই বুকি বিমল আগরওয়াল ও সনু জালান সিংয়ের হয়ে টাকা তুলতেন। ২০১৫ সালে তারা দিল্লিতে এসেছিলেন বুকিদের কাছ থেকে ঘুষের টাকা নিতে। প্রাক্তন এই দুই ইডি কর্তার পাশাপাশি এদিন বেটিং কাণ্ডে মিডলম্যান হিসেবে থাকা পরেশ প্যাটেল, জে কে আরোরা, ধ্রুব কুমার সিং, জয়েশ ঠাকুর, সুরিন্দার মান্ডি এবং সনু জালানের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন করা হয় সিবিআইয়ের তরফ থেকে।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ঠিক আগেই, বিসিসিআই আজীবন নির্বাসনে পাঠাল এই খেলোয়াড়কে!