আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংস আর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর মধ্যে হওয়া রোমাঞ্চকর ম্যাচে ব্যাঙ্গালুরু বাজি মেরে নিয়েছে। প্রথমে ব্যাট করে বিরাট কোহলির দল ২০ ওভারে ১৬১ রান করে। দেখার দিক দিয়ে এই লক্ষ্যকে যথেষ্ট ছোটো মনে হচ্ছিল, কিন্তু যেভাবে চেন্নাই সুপার কিংস এই পুরো আইপিএলে ব্যাটিং করেছে তাদের জন্য এই লক্ষ্য পাহাড় প্রমান দেখানো স্বাভাবিক ছিল।
চেন্নাই যখন এই লক্ষ্যা তড়া করতে আসে তো সবার মনে হয়েছিল শেন ওয়াটসনের ব্যাট আজ তো চলবেই। কিন্তু এই খেলোয়াড়ের ব্যাট এই মরশুমে সম্পূর্ণ নিশ্চুপ থেকেছে। এমন মনে হচ্ছে যে বয়েস এখন এই খেলোয়াড়ের খেলায় বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে ৯ বছর পর প্রত্যাবর্তন করা ডেল স্টেইনের জাদু এই ম্যাচেও চলে আর তিনি ওয়াটসনকে শুরুতেই আউট করে দেন।
কেদার, রায়না আর ফাফ দু’প্লেসি ধারাবাহিক নন
এরপর চেন্নাইয়ের ব্যাটসম্যান কেদার যাদব, ফাফ দু’প্লেসি আর সুরেশ রায়না কখন আসেন আর কখনই বা ফিরে যান বোঝাই যায়নি। এরপর থ্রি ডাইমেনশনাল প্রদর্শন না করার কারণে বিশ্বকাপের ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়া আম্বাতি রায়ডুকে সঙ্গে দিতে মাঠে আসেন অধিনায়ক এমএস ধোনি। যেমনই এই খেলোয়াড় মাঠে পা রাখেন পুরো স্টেডিয়াম ধোনি ধোনি শব্দে আওয়াজ তুলে দেয়। ব্যাস, এখানেই সেই ভুল হয়ে যায় যার কারণে চেন্নাই এই ম্যাচ হেরে যায়।
নিজেকে রজনীকান্ত মনে করার মূল্য চোকাতে হল ধোনিকে
এরপরই ২৯ বলে ২৯ রান করা রায়ডু দুর্দান্ত একটি বলে শিকার হয়ে যান। আর তারপরই জাদেজাকে উপরে পাঠানো যাতে তিনি লম্বা লম্বা ছক্কা মারতে পারেন। কিন্তু এই খেলোয়াড় নিজের চিরপরিচিত স্বাভাবে আউট হয়ে ফিরে আসেন। এরপর ব্যাটিং করতে আসেন অলরাউন্ডার ডোয়েন ব্র্যাভো। কিন্তু ধোনির ভেতর রজনীকান্তের আত্মা ভর করেছিল। তার ইচ্ছে ছিল তিনি নিজের এই ম্যাচ শেষ করবে আর এই চক্করে তিনি তিনটি সিঙ্গলস রান মিস করে দেন। আর চেন্নাই এক রানে হেরে যায়।
রজনীকান্ত যেভাবে ফিল্মে একাই ১০০ গুন্ডাকে মারেন সম্ভবত ধোনির মনেই সেইরকমই কিছু চলছিল। কিন্তু ধোনি ভুলে যান যে এটি একটি দলগত খেলা। কোনো একজন খেলোয়াড়ের একার খেলা নয় এটি। তার সিঙ্গলস রান না নেওয়ার মূল্য তার দলকে চোকাতে হয় এবং তার খতরনাক ইনিংস সত্ত্বেও তার দল মাত্র এক রানে হেরে যান।
বেশ কিছু ফ্যাক্টর
ডোয়েন ব্র্যাভোর আইপিএলে স্ট্রাইক রেট ১২৮। এই খেলোয়াড় ৫টি হাফসেঞ্চুরি করেছেন। তার সর্বাধিক স্কোর ৭০ রান। গত মরশুমে তিনি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ৩০ বলে ৬৮ রান করেছিলেন যা কেউই ভুলতে পারে না। ফলে এই খেলোয়াড়ের মধ্যে এতটা সক্ষমতা তো ছিলই যে তিনি ছক্কা না মারতে পারলেও অন্তত সিঙ্গলস রোটেট করতে পারতেন। কিন্তু মাহি তো মাহিই। তিনি নিজেই নিজেকে ১০০ ভাবতে শুরু করে দেন।