আইপিএল ২০২২ এই মুহূর্তে চরম সীমায় রয়েছে। এই পয়সাবহুল লীগে প্রতিটি দলই একে অপরকে ছাপিয়ে যেতে প্রবলভাবে প্রদর্শন করে চলেছে। কিন্তু এই মরশুমে পাঁচবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের প্রদর্শন ভীষণই নিরাশাজনক থেকেছে। আইপিএলের সবচেয়ে বেশিবার খেতাব জেতা দল মুম্বই চলতি মরশুমে ১০টি ম্যাচের মধ্যে ৯টি ম্যাচই হেরেছে। আর মাত্র একটি ম্যাচই জিতেছে। এই অবস্থায় মুম্বইয়ের দলের চলতি মরশুমে আইপিএলের দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার আর কোনো সম্ভাবনা নেই। মুম্বইয়ের প্রদর্শন থেকে ভারতের প্রাক্তন তারকা ওপেনার বীরেন্দ্র সেহবাগ মুম্বইকে তাদের বাকি থাকা ম্যাচগুলি নিয়ে একটি বিশেষ পরামর্শ দিয়েছেন।
প্লে অফে যাওয়া মুশকিল মুম্বইয়ের
আইপিএল ২০২২ এ মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলের নিরাশজনক প্রদর্শনের পর প্রাক্তন ক্রিকেটার বীরেন্দ্র সেহবাগ একটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে মুম্বইয়ের দল এখন এই মরশুমে প্লে অফে পৌঁছতে পারবে না। এই কারণে তাদের উচিৎ নিজেদের সিনিয়র খেলোয়াড় যেমন রোহিত শর্মা আর যশপ্রীত বুমরাহকে বিশ্রাম দিয়ে নিজেদের বেঞ্চ স্ট্রেংথকে পরীক্ষা করা উচিৎ। মুম্বইয়ের দল এর আগের ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে নিজেদের প্রথম ম্যাচ জিতেছিল। যদি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স তাদের আইপিএলে বাকি থাকা ম্যাচগুলি জিতেও নেয়, তাহলেও তাদের পক্ষে প্লে অফে যাওয়া যথেষ্ট মুশকিল। তারা এই প্রায় টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে গিয়েছে।
মুম্বইয়ের উচিৎ নতুন খেলোয়াড়দের সুযোগ দেওয়া- বীরেন্দ্র সেহবাগ
বীরেন্দ্র সেহবাগের মতে এখন মুম্বইয়ের উচিৎ আগামী মরশুমের দিকে মনোযোগ দেওয়া। এই কারণে তাদের সিনিয়র খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিয়ে নিজেদের রিজার্ভ বেঞ্চকে পরীক্ষা করা। ক্রিকবাজের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে গিয়ে তিনি বলেন,
“আমার মতে বুমরাহ আর রোহিতের মত সিনিয়র খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দেওয়ার এটাই সঠিক সময়। ওরা নতুন খেলোয়াড়দের ট্রাই করতে পারে আর তারফলে ওরা এটা জানার সুযোগ পাবে যে কাকে রিটেন করা উচিৎ আর কাকে রিলিজ করা। যখন বড় নাম না থাকে তো যে কোনো নতুন খেলোয়াড় হিরো হয়ে যায়। অন্যদিকে যদি বিষয়গুলো আপনার হিসেব অনুযায়ী না হয় তো বড়জোড় আপনি আরও একটা ম্যাচ হারবেন”।
বুমরাহের প্রদর্শন নিরাশাজন
আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলের প্রধান বোলার হলেন জসপ্রীত বুমরাহ। তবে এই মরশুমে তার প্রদর্শন তেমনটা হয়নি। তিনি এখনও পর্যন্ত ৯টি ম্যাচে ৫১.২০ গড় আর ৪১.২০ স্ট্রাইকরেটে মাত্র ৫টিই উইকেট নিতে পেরেছেন। গত ৫টি ম্যাচে তিনি মাত্র ২টিই উইকেট নিতে পারেন। অন্যদিকে অধিনায়ক রোহিত শর্মারও প্রদর্শন খারাপ থেকেছে। তিনি ৯টি ম্যাচে মাত্র ১৫৫ রানই করতে পেরেছেন।