আরসিবি আর কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের মধ্যে এক ভীষণই রোমাঞ্চকর ম্যাচ খেলা হয়েছে। এই ম্যাচে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবে অধিনায়ক কেএল রাহুল এক দুর্দান্ত অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেন আর নিজের দলকে দ্বিতীয় জয় এনে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এর জন্য রাহুলকে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচের পুরস্কারও দেওয়া হয়।
জয়ের পরও কেএল রাহুল জানালেন দলের কমতি
আরসিবি আর পাঞ্জাবের মধ্যে খেলা হওয়া ম্যাচে পাঞ্জাব ৮ উইকেটে একটি বড় জয় হাসিল করে। এই ম্যাচে পাঞ্জাবের দহিয়ান্যক কেএল রাহুল ৪৯ বলে ৫টি ছক্কা এবং ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে অপরাজিত ৬১ রানের ইনিংস খেলেন। এই অধিনায়কোচিত ইনিংসের জন্য কেএল রাহুলকে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ নির্বাচিত করা হয়। এই খেতাব জেতার পর নিজের পোষ্ট ম্যাচ প্রেজেন্টেশনে কেএল রাহুল বলেন,
“আমার এই বিষয়ে কোনো আইডিয়া নেই, সম্ভবত এটা আমার সর্বশ্রেষ্ঠ ছিল। আমার কাছে এই ম্যাচের জন্য শব্দও নেই। আমরা জানতাম যে আমাদের এই ম্যাচ যে কোনো মূল্যে জিততে হবে। আমরা পয়েন্ট তালকায় যে জায়গায় রয়েছি, তার চেয়ে অনেক ভালো আমাদের দল। এটা ব্যাস আরামের জন্য ভীষণই কাছাকাছি, আমি খুশি যে আমরা লক্ষ্য হাসিল করেছি। একটা দল হিসেবে আমরা নিরাশাজনক থেকেছি। এতে নিরশা হতে পারতাম। আমাদের স্কিল ভালো ছিল, কিন্তু আমরা পাওয়া বড়ো সুযোগের লাভ নিতে পারিনি। জয় আর হারের কথা নয়, এটা একটা অভ্যাস হয়ে যায়। চড়াই উতরাই যেনো এটা রোলার-কোস্টার”।
বাঘকে ক্ষুধার্ত রাখা জরুরী
কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব আইপিএল ২০২০-তে প্রথমবার ক্রিস গেইলকে প্রথম একাদশে শামিল করেছে আর তাকে তিন নম্বরে ব্যাট করতে পাঠায়। যেখানে গেইল ২৫ বলে ৩টি ছিক্কা এবং ৪টি বাউণ্ডারির সাহায্যে অপরাজিত ৫৩ রান করেন আর দলকে জয় এনে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর কেএল রাহুল ক্রিস গেইলের প্রশংসা করে বলেন,
“আমরা চেয়েছিলাম এই জয় গ্রুপে কিছু আত্মবিশ্বাস আনুক। অধিনায়ক হিসেবে এটা আমার প্রথম মরশুম আর প্রত্যেক ম্যাচে জয় হাসিল করার চেষ্টা করি। ব্যক্তিগত প্রদর্শন খুব বেশি মাথায় থাকে না। ক্রিস গেইল গতকিছু সপ্তাহে ভালো অনুভব করছিল না। কিন্তু তিনি ৪১ বছর বয়সেও খেলার জন্য খিদে রাখেন। ও সবসময়ই প্রথম দিন থেকে খেলতে চাইত। ও করা মেহনত করছিল, ও পার্কে থাকতে চেয়েছিল। বাঘকে ক্ষুধার্ত রাখা জরুরী। ও যেখানেই ব্যাটিং করে ও খতরনাক হয়ে যায়। ও এটা একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবেও নিয়েছে। ও এখন ভয় পাওয়াতে থাকবে”।