আর মাত্র কয়েকদিনই বাকি রয়ে গেছে আইপিএল এর ত্রয়োদশ মরশুম শুরু হতে। আইপিএল ১৩ শুরু আগেই এটা নিয়ে এই মুহূর্তে ভীষণভাবে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। এই প্রতিবেদনে আমরা কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং তাদের নতুন কোচ ব্রেণ্ডন ম্যাকালামের তত্ত্বাবধানে তারা কীভাবে তৈরি হচ্ছে তা খতিয়ে দেখব। আইপিএল ২০২০-এর নিলামে, কেকেআর বড়ো অঙ্কের টাকা ব্যয় করে ইয়োন মর্গ্যান, প্যাট কমিন্স এবং টম ব্যান্টনের মতো বিশ্বমানের প্লেয়ারদের সই করিয়েছে। এই টিম সংযোজনের ফলে দীনেশ কার্তিক এবং কেকেআর ম্যানেজমেন্টের কিছু কঠিন সমস্যায় পড়তে হতে পারে দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে। এই প্রতিবেদনে আমরা এমন তিনটি সমস্যার ব্যাপারে আলোচনা করতে চলেছি।
৩. সন্দীপ ওয়ারিয়র অথবা প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা
কেকেআরের বোলিং বিভাগে ভীষণই গভীরতা রয়েছে, তাই বোলিং আক্রমণ বেছে নেওয়ার জন্য তাদের সবচেয়ে বেশি সমস্যার মুখে পড়তে হতে পারে। সঠিক বোলিং আক্রমণ সংযোজনের ক্ষেত্রে কাকে প্রথম একাদশে রাখা হবে কাকে হবে না সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হবে। এমনই একটি কঠিন সিদ্ধান্ত হলো সন্দীপ ওয়ারিয়র এবং প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার মধ্যে কোনো একজনকে বেছে নেওয়া। সন্দীপ নতুন বলে সুইং করাতে দক্ষ হওয়ায় তিনি একজন মারাত্মক অস্ত্র হিসেবে প্রমানিত হতে পারেন, অন্যদিকে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা পরিচিত তার গতির কারণে। পরিস্থিতি অনুযায়ী কাকে বাছবে সেই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ নির্ভর করবে দীনেশ কার্তিকের উপর। এই মুহূর্তে পরিস্থিতি অনুযায়ী কেকেআর এই দুজনের যে কাউকেই প্রথম একাদশে রাখতে পারে।
সন্দীপ ওয়ারিয়রের আইপিএল কেরিয়ার: ৩টি ম্যাচ, ২টি উইকেট, ইকোনমি – ৭.০৮
প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার আইপিএল কেরিয়ার: ১৮টি ম্যাচ, ১৪টি উইকেট, ইকোনমি – ৯.৪
২. শিভম মাভি অথবা বরুণ চক্রবর্তী
২০১৯এ চোটের কারণে আইপিএল থেকে ছিটকে যাওয়া শিভম মাভি আইপিএলের ত্রয়োদশ মরশুম শুরুর আগেই দলে প্রত্যাবর্তন করবেন। কিন্তু এই ভীষণই প্রতিশ্রুতিমান তরুণ তারকাকে কী সরাসরি প্রথম একাদশে রাখা হবে? আইপিএল ২০১৮য় শিভম মাভি ১৪০ কিমি প্রতি ঘন্টা গতিতে বল করতে পারার দক্ষতার কারণে সকলকেই প্রভাবিত করেছিলেন। তবে এটা দেখা ইন্টারেস্টিং হতে পারে যে দীনেশ কার্তিক কী একজন অতিরিক্ত পেসারকে দলে জায়গা দেবেন নাকি একজন অতিরিক্ত স্পিনার হিসেবে বরুণ চক্রবর্তীকে দলে জায়গা দেবেন? বাস্তবকে ধরে চললে কেকেআর সম্ভবত তাদের প্রধান স্পিনার হিসেবে কুলদীপ যাদব এবং সুনীল নারিনকে খেলাবে, এবং প্যাট কমিন্স, অ্যান্দ্রে রাসেল এবং প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা বা সন্দীপ ওয়ারিয়রের মধ্যে কোনো একজনকে তাদের জোরে বোলার হিসেবে খেলাতে পারে। বরুণ চক্রবর্তী রহস্যময় স্পিনার হিসেবে পরিচিত এবং গত মরশুমে তিনি কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবে বেশি সুযোগ পাননি, ফলে একটা আশা থেকেই যায় তিনি আইপিএল ২০২০ তিনি বেশি সুযোগ পেতে পারেন।
শিভম মাভি আইপিএল কেরিয়ার: ৯টি ম্যাচ, ৫টি উইকেট, ইকোনমি – ৯.৬৫
বরুণ চক্রবর্তী আইপিএল কেরিয়ার: ১টি ম্যাচ, ১টি উইকেট, ইকোনমি – ১১.৬৭
১. ইয়োন মর্গ্যান অথবা টম ব্যান্টন
আরো একটি বড়ো সিদ্ধান্ত যা কেকেআরের টিম ম্যানেজমেন্টকে নিতে হবে সেটা হলো ইংল্যান্ডের দুই প্লেয়ার ইয়োন মর্গ্যান এবং টম ব্যান্টনের মধ্যে কাকে তারা বাছবেন। টম ব্যান্টন যেখানে একজন উইকেটকিপার ওপেনিং ব্যাটসম্যান, মর্গ্যান সেখানে একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় যিনি মিদল অর্ডারের যে কোনো জায়গায় ব্যাট করতে পারেন। অন্তত টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে আশা করা যেতে পারে যে মর্গ্যানকে প্রথম একাদশে দেখা যাবে, কারণ তার মধ্যে ক্রিকেটের প্রচুর অভিজ্ঞতা এবং নির্ভীকতা রয়েছে। তবে ইংল্যান্ডের সীমিত ওভারের অধিনায়ক মর্গ্যানের চেয়ে ব্যান্টনকে প্রাধান্য দেওয়া হলে খুব একটা আশ্চর্য হবে না কারণ বিশ্বজুড়ে টি-২০ লীগে ব্যান্টন নিজের যথেষ্টই খ্যাতি অর্জন করেছেন।
ইয়োন মর্গ্যান আইপিএল কেরিয়ার: ৫২টি ম্যাচ, ৮৫৪ রান, গড় – ২১.৩৫, স্ট্রাইকরেট – ১২১.৩১
টম ব্যাণ্টনের এটাই প্রথম আইপিএল মরশুম হতে চলেছে।