আইপিএল ২০১৭ঃ রবিবারের কেকেআর বনাম সানরাইজার্স ম্যাচে দুই দলের গভীরতা 1
গৌতম গম্ভীর ও ডেভিড ওয়ার্নার

আর মাত্র একটা ম্যাচ জিততে পারলেই কার্যত প্লেঅফে জায়গা করে নেবে কলকাতা নাইট রাইডার্স। সদ্য দিল্লি ডেয়ারডেভিলসকে নিজেদের ঘরের মাঠে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ নিজেদের অবস্থান বজায় রেখেছে গৌতম গম্ভীর। এখনও পর্যন্ত ন’টি ম্যাচ খেলে ৭ টিতে জিতে কেকেআরের মোট পয়েন্ট ১৪। এদিকে এই তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা সানরাইজার্সও শেষ ম্যাচে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবকে হারিয়ে দারুণ ছন্দে রয়েছে। রবিবার হায়দ্রাবাদে এই দুই দল এই আইপিএলে দ্বিতীয় বারের জন্য মুখোমুখি হবে। আগের ম্যাচে কেকেআরের কাছে পরাজয়ের শোধ নিতে চাইছে ডেভিড ওয়ার্নারের দল। এদিকে কলকাতাও এই ম্যাচে জিতে কার্যত প্লে অফে নিজের জায়গা পাকা করে নিতে চাইছে।

গত ইডেন গার্ডেন্স ম্যাচে কেকেআর এই বছরে দ্বিতীয় বারের জন্য হারিয়েছে দিল্লিকে। ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নামা অধিনায়কের ব্যাটে ধারাবাহিকভাবে রানা আসায় এই দলের শক্তি বেড়েছে অনেকটাই। শেষ ম্যাচেও অধিনায়ক গম্ভীর অপরাজিত ৭১ রানের এক অসাধারণ ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেন। এছাড়া রবীন উথাপ্পাও থামার নাম নিতে চাইছেননা। এদিন তিনিও মাত্র ৩৩ বলে ৫৯ রান করে আবার প্রমাণ করে দেন, এই দলের পাওয়ার হিটারের তালিকায় তিনিও রয়েছেন।

ইডেন জয়ের পর, বিশেষ এক ঘোষণায় সারা দেশের মন জিতে নিলেন গম্ভীর

এই মরশুমে এখনও পর্যন্ত দেখা খেলা অনুযায়ী বলাই যায়, বোলিং বিভাগ কেকেআর দলে এক ভারসাম্য রক্ষা করেছে। ঘরোয়া উচ্চমানের ব্যাটসম্যানরা থাকায় এই দলকে অনেকেই ভাল চেজ করতে সক্ষম মনে করত। কিন্তু এই বছর ন্যাথন কৌলটার নাইল বা ক্রিস ওকসরা সেই ধারণা বদলে দিয়েছে। কম রান করলেও বিপক্ষকে সেই সীমারেখায় পৌছতে আহুতি দিতে হয়েছে অনেকটাই। এই জন্য রবিবারের সানরাইজার্স ও কেকেআরের ম্যাচে, গৌতম গম্ভীরের দলকেই এগিয়ে রাখছে সবাই।

ইডেনে চার শহিদ জওয়ানকে সম্মান জানাতে বিশেষ এই উদ্যোগ গ্রহণ করলো সিএবি

অন্যদিকে, গতবারের চ্যাম্পিয়ন সানরাইজার্সও ভাল ছন্দে ফিরে এসেছে। প্রথমে দুটি ম্যাচে দারুণ খেলার পর মিডল ওর্ডারের ব্যাটিং সমস্যার জন্য কিছুটা দুর্বল লাগছিল এই দলকে। আইপিএলের সবথেকে বিষাক্ত বোলিং অ্যাটাক থাকলেও, ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিকতার সমস্যা যেন মাথাব্যথা বাড়িয়েছিল। তবে এখন ডেভিড ওয়ার্নারের পাশাপাশি শিখর ধবনও ফর্মে ফিরেছে। শেষ ম্যাচে তিনি ৭৭ রান করেছেন। এছাড়া কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন দলে এসে এই দলের শক্তি বাড়িয়েছে আরও। তিনিও শেষ ম্যাচে ৫৪ রানের এক ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। এছাড়া অধিনায়ক ওয়ার্নার তো ফর্মে আছেনই, যিনি শেষ ম্যাচে মাত্র ২৭ বলে ৫১ রান করেছেন। এরফলে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ২০৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা দেয় সানরাইজার্স। জবাবে এই দলের শক্তিশালী বোলিং আক্রমনের সামনে ১৮১ রানের বেশি তুলতে পারেনি কিংস ইলেভেন।

ধবন, ওয়ার্নার ও উইলিয়ামসন এইভাবেই রবিবার ফর্মে থাকলে সেটা অবশ্যই কেকেআরের বোলারদের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। পাশাপাশি আশিষ নেহরা, ভুবনেশ্বর কুমারের বিরুদ্ধে যথেষ্ট সাবধানে খেলতে হবে কলকাতার ব্যাটসম্যানদেরও। এছাড়া রান রেট যখন তখন কমানোর জন্য তো স্পিনার রসিদ খান রয়েছেনই সানরাইজার্সের ঝুলিতে। একবার দেখে নেওয়া যাক এই দুই দলের খলোয়ারদের।

কেকেআর — গৌতম গম্ভীর, সুনীল নারিন, রনবীন উথাপ্পা, কূলদ্বীপ যাদব, মনীষ পান্ডে, সূর্য কুমার যাদব, পীশ্যূস চাওলা, সাকিব আল হাসান, ক্রিস লিন, উমেশ যাদব, ইউসুফ পাঠান, শেল্ডন জ্যাকসন, অঙ্কিত সিংহ রাজপুত, ট্রেন্ট বোল্ট, ক্রিস ওকস, রিষি ধবন, ন্যাথন কৌলটার নাইন, রোভম্যান পাওয়েল, আর সঞ্জয় যাদব, ঈশাঙ্ক জাজ্ঞি, ডারেন ব্রাভো, সায়ন ঘোষ, কলিন ডে গ্রান্ডহোম।
সানরাইজার্স – ডেভিড ওয়ার্নার, শিখর ধবন, ভুবনেশ্বর কুমার, মোয়েস হেনরিকস, নমন ওঝা, রিকি ভুঁই, কেন উইলিয়মসন, সিদ্ধার্ত কল, বিপুল শর্মা, আশিষ নেহরা, রসিদ খান, যুবরাজ সিংহ, বেন কাটিং, অভিমন্যু সিংহ, মুস্তাফিজুর রহমান, বারিন্দর শ্রান, দীপক হুডা, বিজয় শঙ্কর, মহম্মস সিরাজ, একলভ্য দ্বিবেদী, ক্রিস জর্ডন, মহম্মদ নবী, বেন লাগলিন, তন্ময় আগরওয়াল, প্রবীন তাম্বে

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *