ওয়েস্টইন্ডিজ আর ভারতের মধ্যে জামাইকা টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শেষ হয়েছে। ভারতীয় দল নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৪১৬ রান করেছিল। ঘরের দল দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত ৭ উইকেটে ৮৭ রান করে ফেলেছিল। ভারতীয় দলের জোরে বোলার জসপ্রীত বুমরাহ ওয়েস্টইন্ডিজের প্রথম ইনিংসে হ্যাটট্রিক করেছিলেন। তৃতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত ওয়েস্টইন্ডিজের স্কোর ২ উইকেটে ৪৫ রান। তৃতীয় দিনের খেলায় অজিঙ্ক রাহানে-হনুমা বিহারীসহ খেলোয়াড়রা বেশকিছু রেকর্ড গড়েছেন। আজ সেই রেকর্ডসের ব্যাপারেই এই বিশেষ প্রতিবেদনে আপনাদের জানাব।
আসুন এক নজর দেখে নেওয়া যাক তৃতীয় দিনে হওয়া রেকর্ডসের দিকে:
১. মহম্মদ শামি আজ নিজের টেস্ট কেরিয়ারের ১৫০তম উইকেট হাসিল করলেন। ১৫০ উইকেট হাসিল করা তিনি ভারতের ১৫তম বোলার হলেন।
২. হনুমা বিহারী আজ নিজের টেস্ট কেরিয়ারের তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি করলেন। তিনি টেস্ট ক্রিকেটে একটি সেঞ্চুরিও করেছেন, যা তিনি এই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে করেছেন।
৩. অজিঙ্ক রাহানে আজ নিজের টেস্ট কেরিয়ারের ১৯তম হাফসেঞ্চুরি করলেন। তিনি টেস্টে ১০টি সেঞ্চুরিও করেছেন।
৪. বিরাট কোহলি আজ গোল্ডেন ডাকের শিকার হন। তিনি নিজের টেস্ট কেরিয়ারের চতুর্থবার গোল্ডেন ডাকের শিকার হলেন।
৫. টেস্টে বিরাট কোহলিকে গোল্ডেন ডাকে আউট করা বোলার:
বনাম অস্টেলিয়া, এমএসিজ, ২০১১/১২, বেন হিলফেনহাস
বনাম ইংল্যান্ড, লর্ডস, ২০১৪, লিয়াম প্ল্যাংকেট
বনাম ইংল্যান্ড, ওভাল, ২০১৮, স্টুয়ার্ট ব্রড
বনাম ওয়েস্টইন্ডিজ, কিংস্টন, ২০১৯, কেমার রোচ
৬. সবচেয়ে বড়ো লীড যখন ভারত বিদেশে খেলা টেস্টে ফলোঅন করায়নি:
৩১৯ বনাম ইংল্যান্ড, ওভাল ২০০৭
৩০৯ বনাম শ্রীলঙ্কা, গালে, ২০১৭
২৯৯ বনাম ওয়েস্টইন্ডিজ, কিংস্টন ২০১৯*
২৯২ বনাম অস্ট্রেলিয়া, এমসিজি ২০১৮/১৯
২৩১ বনাম অস্ট্রেলিয়া, এমএসিজি ২০০৩/০৪
৭. কেএল রাহুল দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ রানে আউট হন, তিনি গত ১২টি ইনিংসে একটিও হাফসেঞ্চুরি করতে পারেননি।
৮. ভারতের হয়ে একই টেস্টে ১০০ আর ৫০ রানের বেশি করা ৬ নম্বর ব্যাটসম্যান এশিয়ার বাইরে:
পলি উমিরগড় ৫৬ আর ১৭২* বনাম ওয়েস্টইন্ডিজ , ১৯৬২
টাইগার পতৌদি ৬৪ আর ১৪৮ বনাম ইংল্যান্ড, ১৯৬৭
এমএল জয়সিমা ৭৪ আর ১০১ বনাম অস্ট্রেলিয়া, ১৯৬৮
শচীন তেন্ডুলকর ৬৮ আর ১১৯* বনাম ইংল্যান্ড, ১৯৯০
হনুমা বিহারী ১১১ আর ৫৩* বনাম ওয়েস্টইন্ডিজ, ২০১৯
৯. ঋষভ পন্থ আজ নিজের ৫০টি ডিসমিসাল পূর্ণ করলেন। তিনি নিজের ১১টি ম্যাচে ৫০টি ডিসমিসাল পূর্ণ করলেন। ধোনি নিজের ১৫টি ম্যাচে ৫০টি ডিসমিসাল পূর্ণ করেছিলেন।