ভারতীয় দল নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ানডেতে ৪ উইকেটে হেরেছে। এই হারের সঙ্গেই দল ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-০ পেছিয়ে গিয়েছে। সিরিজে বজায় থাকার জন্য ভারতকে দ্বিতীয় ম্যাচ জিততেই হবে। এই সফরে খেলা ৫টি টি-২০ ম্যাচের সবকটিতেই ভারত জয় পেয়েছিল কিন্তু ওয়ানডে সিরিজে সেই ধারা ভেঙে গিয়েছে।
আইসিসি করল জরিমানা
ম্যাচ হারার পর ভারতীয় দলের উপর আইসিসি স্লো ওভার রেটের কারণে জরিমানা করেছে। বিরাট কোহলির নেতৃত্বধাঈন ভারতীয় দল নির্ধারিত সময় পর্যন্ত ৪ ওভার কম বল করেছে। ম্যাচ ১১ বল বাকি থাকতেই ৪৮.১ ওভারেই শেষ হয়ে গিয়েছে। এই কারণে ম্যাচ রেফারি ৮০ শতাংশ ম্যাচ ফিজ জরিমানা করেছে। আইসিসির রেফারি ক্রিস ব্রড ভারতীয় দলকে এই শাস্তি দিয়েছেন। বিরাট কোহলি এই ভুল মেনে নিয়েছেন আর এই কারণে শুনানির দরকার পড়েনি।
নিয়ম কি?
স্লো ওভার রেটের জন্য আইসিসির নিয়ম রয়েছে যে দল নির্ধারিত সময় পর্যন্ত যত ওভার কম করেছে প্রত্যেক ওভারের ২০ শতাংশ ম্যাচ ফিজ কাটা হবে। আইসিসি দ্বারা প্রকাশ করা বয়ানে বলা হয়েছে,
“প্লেয়ার্স আর প্লেয়ার সাপোর্ট পার্সনের জন্য আইসিসির আচার সংহিতার অনুচ্ছেদ ২.২২র অনুযায়ী যা নুন্যতম ওভার-রেট অপরাধের সঙ্গে সম্পর্কিত, দল যত ওভার কম করেছে খেলোয়াড়দের তাদের ম্যাচ ফিজের প্রত্যেক ওভারে ২০ শতাংশ জরিমানা করা হয়”।
শেষ দুটি টি-২০তেও জরিমানা করা হয়েছিল
ভারতীয় দলের উপর এটা লাগাতার তৃতীয় জরিমানা করা হল। টি-২০ সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে ভারতীয় বোলাররা নির্ধারিত সময়ে ২ ওভার কম করেছিলেন। আর এই কারণে ৪০ শতাংশ ম্যাচ ফিজ জরিমানা করা হয়েছিল। ভারত সুপার ওভারে ম্যাচ জিতেছিল। ওই ম্যাচে বিরাট কোহলিই অধিনায়কত্ব করেছিলেন।
টি-২০ সিরিজের শেষ ম্যাচ মাউন্ট মনগুনইতে খেলা হয়েছিল। এই ম্যাচে রোহিত শর্মা ভারতীয় দলের অধিনায়কত্ব করছিলেন। তার আহত হওয়ার কারণে কেএল রাহুল ফিল্ডিংয়ের সময় ভারতীয় দলের অধিনায়কত্ব করেছিলেন। রোহিত ব্যাটিং চলাকালীন আহত হয়েছিলেন। সেই ম্যাচে ভারতীয় দল নির্ধারিত সময়ে এক ওভার কম করেছিল। যারপর ২০ শতাংশ ম্যাচ ফিজের জরিমানা করা হয়েছিল। ভারত ওই ম্যাচ ৭ রানে জেতে।