চতুস্কোণীয় এক দিবসীয় সিরিজের তৃতীয় স্থানের জন্য খেলা হওয়া ম্যাচে ভারতীয় এ দল ১২৪ রানে জয় হাসিল করল। ভুবনেশ্বর কুমারের দুর্দান্ত বোলিং দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ যোগদান দিয়েছে। অন্যদিকে শ্রেয়স আইয়ার আর আম্বাতি রায়ডুর অর্ধশতকীয় ইনিংসও গুরুত্বপূর্ণ প্রমানিত হয়।
ইন্ডিয়া এ প্রথমে ব্যাটিং করে তোলে ২৭৫ রানের স্কোর
টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামা ভারতীয় এ দলের ওপেনিং জুটি বিশেষ কিছু করতে পারে নি। ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবে নামা অভিমন্যু সমর্থ ১২ রান করে আউট হয়ে যান। অন্যদিকে রবিকুমার সমর্থ মাত্র ২৩ রানই করতে পারেন। এরপর অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার আর আম্বাতি রায়ডুর মধ্যে একটি বড় পার্টনারশিপ হয়। আইয়ার ৬৭ রান করেন।
অন্যদিকে আম্বাতি রায়ডুও ৬৬ রানের হাফসেঞ্চুরির ইনিংস খেলেন। সঞ্জু স্যামসন মাত্র ২৬ রান করতে পারে। নিতীশ রানা করেন ৩০ রান। দীপক চহেরও ১৬ রান ক্রে আউট হন। এছাড়াও ক্রুণাল পান্ডিয়াও ২৪ রান আর ময়ঙ্ক মারকান্ডে এক বল খেলে কোন রান না করেই অপরাজিত থাকেন। দক্ষিণ আফ্রিকা এ’র হয়ে হেন্ড্রিকস সর্বাধিক ৩ উইকেট নেন।
ভারতীয় দলের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে ধসে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার দল
জেতার জন্য ২৭৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকা এ দল ৩৭.১ ওভারে ১৫১ রানেই অলআউট হয়ে যায়। ওপেনার গিহান ক্লোয়েটে দীপক চহেরের প্রথম শিকার হন। তিনি ১২ রান করে চহেরের বলে বোল্ড আউট হয়ে যান। এরপর তৃতীয় নম্বরে আসা থিয়ুনিস ২ রানই করতে পারেন আর ভুবনেশ্বর কুমার তাকে স্যামসনের হাতে ক্যাচ আউট করে দেন। ভুবনেশ্বর কুমার পরের ওভারেই অধিনায়ক খায়া জোন্ডোকে এলবিডব্লিউ আউট করেন।
এরপর সেনুরন ৪০ রান করে আউট হন। দ্বিতীয় ওপেনার পিটর মলানও এরপর ৩০ রান করে আঊত হয়ে যান। রোবর্ট কোনও রান না করেই ময়ঙ্ক মারকান্ডের বলে আউট হয়ে যান। সিসন্দা মগলা ৬ রানে ভুবনেশ্বরের বলে এলবিডব্লিউ আউট হন। মলুসি ১৯ রান করে চহেরের বলে আউট হন। অন্যদিকে কোনও রান না করেই হেন্ড্রিক্স রান আউট হয়ে যান। সামসি শেষ উইকেট হিসেবে শূন্য রানে আউট হন। এভাবেই দক্ষিণ আফ্রিকার তিন ব্যাটসম্যান বিনা খাতা খুলেই আউট হয়ে যান। সেই সঙ্গে বোলিংয়ে ভারতের হয়ে ভুবনেশ্বর কুমার ৩ উইকেট নেন। এবং দীপক চহের আর ময়ঙ্ক মারকান্ডে ২টি করে উইকেট নেন। খলিল আহমেদ আর ক্রুণাল পান্ডিয়া একটি করে উইকেট নিয়েছেন।