টি- ২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফর্ম্যাট, একজনও ব্যাটসম্যান নিজেকে কম ভাবেন না। এটি এমন ফর্ম্যাট যেখানে ব্যাটসম্যান দ্রুত রান পেতে প্রতিটি সম্ভাব্য উপায় চেষ্টা করে চলেছে। এই ক্ষেত্রে কখনও কখনও সর্বাধিক সেঞ্চুরি করা হয়, কখনও কখনও দ্রুততম সেঞ্চুরি। তবে আজ আমরা এই ধরনের ব্যাটসম্যানদের কথা বলব যারা ডেথ ওভারে (১৬-২০) বোলিংয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন।
মহেন্দ্র সিং ধোনি: ডানহাতি উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান এবং ভারতের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি এখন ৪০ বছর বয়স। ভারত ধোনির অধিনায়কত্বে সমস্ত আইসিসি টুর্নামেন্টে ভালো করেছে। কেরিয়ারে ধোনি মোট ৯৮ টি টি- ২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। যার মধ্যে তার ১২৬.১৩ গড়ে ১৬১৭ রান করেছে। ধোনি টি- ২০ তে দুটি হাফ-সেঞ্চুরিও করেছেন। সব ধরণের ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়া ধোনি বেশিরভাগ মিডল অর্ডারে ব্যাট করতেন। শেষ ওভারে তিনি অনেক ম্যাচ জিতিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে তার ব্যাট শেষ পাঁচ ওভারে (১৬-২০) ১০১৪ রান করেছে।
শোয়েব মালিক: পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক এবং প্রথম পুরুষ ক্রিকেটার ১০০ টি টি- ২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন শোয়েব মালিক। তার কেরিয়ারে মোট ১১৬ টি আন্তর্জাতিক টি- ২০ ম্যাচ খেলেছেন। যার মধ্যে তিনি আটটি অর্ধশতক এবং ১২৪ এর স্ট্রাইক রেট দিয়ে ২৩৩৫ রান করেছেন। টি- ২০ তে ২০০০ রানের বেশি করা প্রথম এশিয়ান ক্রিকেটার হয়ে শোয়েব মালিক বেশিরভাগ মিডল অর্ডারে ব্যাট করেছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে শেষ ওভার অবধি তার পক্ষে থাকাটা বড় বিষয় নয়। মালিকের ২৩৩৫ রানের মধ্যে ৮৬২ রান কেবলমাত্র শেষ পাঁচ (১৬-২০) ওভারে ব্যাট করার সময় এসেছিল।
ডেভিড মিলার: দক্ষিণ আফ্রিকার মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ডেভিড মিলার টি- ২০ ক্রিকেটের অন্যতম বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান হিসাবে পরিচিত। ২০১০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অভিষেকের পর থেকে ডেভিড এখন পর্যন্ত ৮১ টি টি- ২০ ম্যাচ খেলেছেন। যার মধ্যে একটি সেঞ্চুরি এবং তিনটি অর্ধশতক নিয়ে ১৫২৫ রান করেছেন। এটি ১৩৯.৬৫ এর স্ট্রাইক রেট সহ। ডেথ ওভারে ব্যাট করেছেন এমন খেলোয়াড়দের মধ্যে মিলার অন্যতম। শেষ পাঁচ ওভারে তিনি ৭৮৮ রান করেছেন।
বিরাট কোহলি: বর্তমান ক্রিকেট যুগে ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি সব রেকর্ড নিজের নামে করেছেন। আন্তর্জাতিক টি- ২০ ম্যাচে তাঁর নামে সর্বোচ্চ রান। কোহলি মাত্র ৮৪ ইনিংসে ৩১৫৯ রান করেছেন। যার ব্যাট থেকে সর্বাধিক ২৮ টি ফিফটি এসেছে। দলের হয়ে খুব নির্ভরযোগ্য ইনিংস খেলে শেষের খুব কাছাকাছি থাকেন তিনি। এ কারণেই কোহলির ৭২৮ রান এসেছে কেবল শেষ ১৬-২০ ওভারে।
মহম্মদ নবী: আফগানিস্তানের সীমিত ওভারের অধিনায়ক মহম্মদ নবী টি- ২০ ম্যাচেও তারকা। নিজের কেরিয়ারের ৮০ টি টি- ২০ ম্যাচে নবী সাহেব চারটি অর্ধশতক করে ১৩৬৬ রান করেছেন। তার স্ট্রাইক রেটটিও দুর্দান্ত ১৪৬.২৫। দলের হয়ে শেষ ওভার পর্যন্ত বেশ কয়েকবার ব্যাট করেছেন মহম্মদ নবী। যার মধ্যে তার ৫০ শতাংশ রান এসেছে। নবী শেষ পাঁচ ওভারে ব্যাট করতে গিয়ে মোট ৭১৩ রান করেছেন। শুধু তাই নয়, এই ফরম্যাটে তিনি ৭২ উইকেটও নিয়েছেন।