আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে বল করতে নেমে শুরুতেই মার্টিন গুপ্টিল কে আউট করেন দেন তরুণ ইংল্যান্ড পেসার জোফ্রা আর্চার। ইংল্যান্ডের দেওয়া ৩০৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা চেজ করতে নেমে এদিন মাত্র ৮ রানে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান গুপ্টিল, সৈজন্যে আর্চারের দুরন্ত।আর এই গুপ্টিলের উইকেট পাওয়ার মধ্যে দিয়ে ইংল্যান্ডের হয়ে বিশ্বকাপে এক দুরন্ত রেকর্ডের অধিকারী হলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ বংশোদ্ভূত বোলার।ভেঙে দিলেন ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপে গড়া ইয়ান বোথামের রেকর্ড।
গুপ্টিলের উইকেট নেওয়ার মধ্যে দিয়ে ইংল্যান্ডের হয়ে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার তালিকায় প্রথম স্থানে উঠে এলেন আর্চার।এক্ষেত্রে তিনি ভেঙে দিলেন ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপে গড়া ইয়ান বোথামের রেকর্ড।এদিন গুপ্টিলের উইকেট নেওয়ার মধ্যে দিয়ে চলতি বিশ্বকাপে ১৭ টি উইকেটের মালিক হয়ে গেলেন আর্চার।
১৯৯২ সালে ১৬ উইকেট নিয়ে এতবছর এই রেকর্ড টি ধরে রেখেছিলেন বোথাম।এর আগে ২০০৭ এর বিশ্বকাপে খুব কাছাকাছি চলে এলেও ১৪ উইকেট নিয়ে থামতে হয় আন্ড্রু ফ্লিন্টফ কে।
বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর প্রথম পাঁচ
আর্চার – ১৭ (২০১৯)
বোথাম – ১৬ (১৯৯২)
মার্কস – ১৩ ( ১৯৮৩ )
হেমিংস – ১৩ (১৯৮৭ )
উড – ১৩ ( ২০১৯)
এবছরের বিশ্বকাপের শুরু থেকেই খবরের শিরোনামে ছিলেন জোফ্রা আর্চার।বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের প্রাথমিক দলে প্রথমে জায়গা হয়নি তার।বার্বাডোজে জন্ম ,যদিও ব্রিটিশ পাসপোর্ট থাকায় তার ইংল্যান্ডের হয়ে খেলতে কোনও সমস্যা হয়নি।বিদেশের একাধিক টি টোয়েন্টি লীগ গুলোতে ধারাবাহিক ভাবে দারুণ পারফরম্যান্স দিয়ে এসেছে আর্চার।তাই স্বাভাবিক ভাবেই তাকে ইংল্যান্ডের দলে নেওয়ার দাবি ক্রমশ জোড়ালো হয়ে উঠেছিল।এবং পরবর্তী সময়ে ইংল্যান্ডের শেষ পনেরো জনের দলে সুযোগ হয় তার।প্রতাশা মতোই চলতি বিশ্বকাপে দারুন ছন্দে আছেন আর্চার।নতুন বলে তার পেসের কাছে ভিড়মি খাচ্ছে বিপক্ষের ব্যাটসম্যানেরা।
প্রসঙ্গত, আজ বিশ্বকাপের লিগ পর্যায়ের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে নেমেছে ইংল্যান্ড।এদিন প্রথমে ব্যাটিং করে কিউয়িদের বিরুদ্ধে ৫০ ওভার শেষে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ৩০৫ রান তোলে ইংল্যান্ড।ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচের পর আজ ফের আরেকবার সেন্চুরি করলেন ব্যারিস্টো ( ১০৬ ) , তাকে যোগ্য সঙ্গত দিলেন জেসন রয় (৬০ ), অন্যদিকে চেজ করতে নেমে নিউজিল্যান্ডের রানসংখ্যা ২৫ ওভারে ১২৩ /৫ ।