আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল একের পর এক নতুন নতুন পরিবর্তনের মুডে রয়েছে। আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করার পর আইসিসি বিশ্ব ক্রিকেটের সদস্য দেশগুলির সামনে নতুন প্রস্তাব রেখেছে যা নিয়ে এখন সমস্ত দেশের ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে টানাটানি শুরু হয়ে গিয়েছে।
আইসিসির নতুন প্রস্তাব, প্রত্যেক ৩ বছরে হোক ওয়ানডে বিশ্বকাপ আর প্রত্যেক বছর হোক টি-২০ বিশ্বকাপ
আইসিসি সম্প্রতিই ফিউচার্স ট্যুর প্রোগ্রামকে পারিত করার উপর জোর দিয়েছেন যার মধ্যে আইসিসি চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর আর বিসিসিআইয়ের কার্যকরী মনু সাহনীও শামিল রয়েছেন। আইসিসিতে শামিল এই দুজন ভারতীয় তারকা আইসিসির অন্য আধিকারিকদের সঙ্গে মিলে বৈঠকে এই প্রস্তাব রেখেছেন যে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপকে প্রত্যেক চার বছরের জায়গায় তিন বছরে আর টি-২০ বিশ্বকাপকে প্রত্যেক বছর আয়োজন করা হোক।
বিসিসিআই, আইসিসির প্রস্তাবের পক্ষে নেই, করছে বিরোধ
কিন্তু আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রামের অধীনে জারি করা এই প্রস্তাব মানার মুডে নেই বিসিসিআই। আইসিসির যে কোনো ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম জারি করার জন্য ভারত, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড আর ওয়েস্টইন্ডিজের মত বড়ো দেশের সমর্থন জরুরী। আইসিসির এই প্রস্তাবের পর বিসিসিআইয়ের সূত্রর তরফে বলা হচ্ছে যে বিসিসিআই আইসিসির সঙ্গে সদস্যদের অংশগ্রহণ সমঝোতায় স্বাক্ষর করবে না। বিসিসিআইয়ের প্রাক্তন সভাপতি অনুরাগ ঠাকুর আর এন শ্রীনিবাসনও শশাঙ্ক মনোহরের কার্যশৈলীতে খুশি নন।
বিসিসিআই আগেও দিয়েছে আইসিসিকে সমর্থন, এখন হবে না তেমনটা
যদিও বিসিসিআই ২৩ অক্টোবর সৌরভ গাঙ্গুলীর রূপে নতুন প্রেসিডেন্ট পেতে চলেছে কিন্তু সূত্রের কথা মানা হলে আইসিসির এই প্রস্তাবের ফেবারে বিসিসিআই সম্ভবতই কখনো এগিয়ে আসবে। বিসিসিআইয়ের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেছেন যে,
“২০১৭য় ভারত, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে আইসিসির সঙেগ নিজের সদস্য অংশগ্রহণের সমঝোতাকে শেষ করার কাছে এসেছিল। এর আগে কি সিওএ হস্তক্ষেপ করুক। আইসিসির প্রেসিডেন্টকে এটা ভুললে চলবে না যে ভারতের হিতে এবার এমন কোনো বাধা থাকবে না। আইসিসিকেও উপেক্ষা করা যাবে না যে তারা এই এফটিপির সঙ্গে এগিয়ে যেতে পারে”।
রাহুল জোহরীও আইসিসির প্রস্তাবের বিরুদ্ধে
এর সঙ্গেই আইসিসির সূত্র জানিয়েছে যে
“স্বাভাবিক য শশাঙ্কের বলায় উপর সেখান থেকে নামা হয়েছে। তার অনুপস্থিতিতে বিসিসিআইয়ের কোনো প্রতিভাগী হবে না। কিন্তু এখন ওখানে ওদের এফটিপির বিরুদ্ধে মত দেওয়া থেকে বাঁচতে হবে। আইসিসির কাছে শ্রীলঙ্কার মত সদস্যের পর্যাপ্ত ভোট রয়েছে”।
বিসিসিআইয়ের সিইও রাহুল জোহরীও আইসিসির এই প্রস্তাবে বিরোধ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন যে,
“বর্তমানে বিসিসিআইয়ের নির্বাচন চলছে আর এটা কেবল নতুন বোর্ডের সদস্যদের জন্য জেনেশুনে আর এর উপর নিজেদের ইনপুট প্রদান করার জন্য বিবেকপূর্ণ হবে। কোনো সিদ্ধান্তই শেষ হওয়ার আগে একটা বিষয়”।