হ্যামিল্টন ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের দল টসে জিতেছিল আর প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। প্রথমে ব্যাট করে ভারতীয় দল নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩৪৭ রানের এক বিশাল লক্ষ্য খাড়া করে। এই লক্ষ্যকে দেখে সকলেরই মনে হয়ছিল যে ভারত এই ম্যাচ সহজেই জিতে যাবে কিন্তু সকলের আশার বিপরীতে নিউজিল্যান্ড ৩৪৮ রানের বিশাল লক্ষুকে ৪৮.১ ওভারে ৬ উইকেট বাকি থাকতেই হাসিল করে নেয়।
পরিস্থিতির অনুযায়ী ব্যাটিং পজিশনে পরিবর্তন করতে হয়
ভারতের হয়ে শ্রেয়স আইয়ার ১০৭ বলে ১০৩ রানের এক দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেন। যদিও তার এই ইনিংস বেকার চলে যায়। শ্রেয়স আইয়ার এখনো পর্যন্ত ১৬টি ম্যাচে একটি সেঞ্চুরি এবং ৬টি হাফসেঞ্চুরির সাহায্যে ৪৮ এরও বেশি গড়ে রান করে মিডোল অর্ডারে ভালো প্রদর্শন করেছেন। তিনি একটি প্রেস কনফারেন্সে বলেন,
“এমনটা নয় যে আমি ভারত এ-র হয়ে সবসময়ই চার নম্বরে ব্যাটিং করেছি। পরিস্থিতির অনুযায়ী আপনাকে ব্যাটিং পজিশনে পরিবর্তন করতে হয়। আমাকেও তৃতীয় আর পঞ্চম স্থানের মধ্যে পরিবর্তন করতে হয়েছিল। আমি সেখানে ভালো প্র্যাকটিস পেয়েছি এই কারণে আপনি পরিস্থিতিতে অভ্যস্ত হয়ে যান। ব্যক্তিগতভাবে ভারত এ-র ম্যাচ আমার জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ থেকেছে কারণ যখনই আমি সেখানে যেতাম তো নিশ্চিত করতাম যে এটার সেরা ফায়দা তুলি। খেলোয়াড়রা আর পরিবেশ দুর্দান্ত ছিক কারণ আপনার উপর কোনো চাপ থাকে না”।
জয় পেলে ভালো হত
শ্রেয়স আইয়ার আগে নিজের বয়ানে বলেন,
“আমি নিজের এই ইনিংসে যথেষ্ট খুশি, কিন্তু আমার আরো বেশি খুশি হত যদি আমরা এই ম্যাচ জিততাম। এটা আমার প্রথম সেঞ্চুরি আর আমার সবসময়ই চেষ্টা থাকবে যে পরের ম্যাচেও দল জিতুক। পিচ আর উইকেটের ব্যাপারে ওরা বলেছে যে প্রথম ইনিংসে বল থেমে থেমে আসছিল আর পিচে অসমান বাউন্স ছিল না। এরপর আমরা বড়ো পার্টনারশিপ গড়ার সিদ্ধান্ত নিই। দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেট সহজ হয়ে গিয়েছিল। বল ব্যাটে আসছিল আর শিশিরও এই ম্যাচে বড়ো ভূমিকা পালন করেছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে কিউয়ি ব্যাটসম্যানরা দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে আর জয়ের শ্রেয় ওদের দিতে হবে”।