ভারতীয় দল মঙ্গলবার নাগপুরে খেলা হওয়া দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া দলকে ৮ রানে হারিয়ে দিয়েছে। ভারতীয় দলের এই জয়ে বিজয় শঙ্কর দুর্দান্ত অলরাউন্ডার প্রদর্শন করেন। তিনি প্রথমে ব্যাট হাতে ৪৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। এরপর তিনি নিজের বোলিংয়েও দলের হয়ে ২ উইকেট হাসিল করেন।
আমি কখনো বিশ্বকাপ নির্বাচনের ব্যাপারে ভাবি না
ম্যাচের পর নিজের এক প্রেস কনফারেন্সে বিজয় শঙ্কর বলেন,
“আমি আগেও বলেছিলাম আর এখনো বলছি যে আমি কখনো দলেনির্বাচ বা বিশ্বকাপে নির্বাচনের ব্যাপারে ভাবি না, কারণ আমার মনে হয় যে আমাকে এখনো অনেক কিছু শিখতে হবে আর এক লম্বা রাস্তা এগোতে হবে। প্রত্যেক খেলাই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। আমি খালি নিজের সর্বশ্রেষ্ঠ দিতে আর যে দলের হয়েই খেলি, তাদের ম্যাচ জেতাতে নিজের ধ্যান কেন্দ্রিত করি”।
নিদাহাস ট্রফিতে থেকে অনেক কিছু শিখেছি
বিজয় শঙ্কর আগে নিজের বয়ানে বলেন,
“সতভাবে বললে তো নিদাহাস ট্রফি আমার জন্য মুশকিল ছিল, কিন্তু আমি ওই টুর্নামেন্ট থেকে অনেক কিছু শিখেছিলাম। এরপর আমি শিখেছি যে কিভাবে মাঠে শান্ত থাকতে হবে আর একাগ্রতার সঙ্গে খেলতে হবে। পরিস্থিতি মুশকিল হোক বা সহজ,আমার সবসময় শান্ত আর একাগ্রতার সঙ্গে খেলার প্রয়োজন”।
তিনি আরো বলেন,
“আমি খালি চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত ছিলাম, কারণ আমি জানতাম যে আমাকে এক ওভার বল করতে হবে, আর আমি ৪৩তম-৪৪তম ওভারের পর খালি নিজেকে বলছিলাম, আমি যে কোনো মুহূর্তে বোলিং করতে যাচ্ছি।
সম্ভবত শেষ ওভার আর আমার মোট ১০ বা ১৫ রান বাঁচানোর জন্য তৈরি থাকা উচিৎ, এই কারণে আমি এর জন্য মানসিকভাবে তৈরি ছিলাম”।
শেষ ওভারের আগে বুমরাহ করেছেন সাহায্য
গতকালের ম্যাচের শেষ ওভার নিয়ে বিজয় শঙ্কর বলেন,
“৪৮তম ওভারের পর বুমরাহ আমার কাছে আসে আর বলে, যে বল সামান্য রিভার্স হচ্ছে। ও আমাকে বলে যে আমাকে এই উইকেটে সঠিক লেংথে বল করার দরকার যেখানে আমার কাছে ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করার সুযোগ থাকবে।
আমি শেষ ওভারে দুই উইকেট পাই, আমি এই মুহূর্তের আনন্দ উপভোগ করার চেষ্টা করছি আর ফের এর সঙ্গেই আগে এগোব”।
রান আউটকে ভুলে, দলের জয়ে খুশি
নিজের রান আউট নিয়ে বিজয় শঙ্কর বলেন,
“যখন আপনি এইভাবে রান আউট হয়ে যান তো নিরাশা অবশ্যই হয়, কিন্তু ক্রিকেটে এমন ব্যাপার হতে থাকে। কোহলির শট যথেষ্ট দ্রুতগতির ছিল, এই কারণে আমি ক্রিজে ফেরত যাওয়ার সুযোগ পাইনি। যদিও যতক্ষণ আমি ভালো ব্যাটিং করব আর যতক্ষণ দলের জয়ে যোগদান দিতে থাকব আমি খুশি হব”।