আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অনেক আগেই অবসর নিয়ে ফেলেছিলেন।তারপর সেই ২০১৪-১৫ সালে থেকে ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিভাবে খেলে আসছিলেন তিনি।কিন্তু বিগব্যাশে নক আউট পর্বে নিজের দলের অসহায় আত্মসমর্পন মেনে নিতে পারেননি অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার ডেভিড হাসি।আর তাতেই একপ্রকার অভিমান করেই সব বিভাগের ক্রিকেটকে আলবিদা জানিয়ে দিলেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টেস্ট জার্সি গায়ে কখনই মাঠে নামার সুযোগ হয়নি হাসির।তবে অজিদের হয়ে সীমিত ওভার ক্রিকেটে দাপিয়ে খেলে গিয়েছেন তিনি। বিশেষ করে ওয়ানডে ক্রিকেটে।অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সব মিলিয়ে ৬৯টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন।একদিনের ক্রিকেটে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩২.৬৫ গড়ে মোট ১৭৯৬ রান। ১৪টি অর্ধশতরানের পাশাপাশি একবারই সেঞ্চুরি হাঁকানোর সুযোগ পেয়েছিলেন হাসি।তবে জাতীয় দলের হয়ে টি-২০ ক্রিকেটে তাঁকে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়নি।মাত্র ৩৯ ম্যাচের ব্যাট করে ২২.৯০ গড়ে মোট ৭৫৬ রান করেছেন তিনি।তাঁর সর্বমোট রানের মধ্যে মাএ একটি অর্ধশতরান ছিল।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর থেকে মাইক হাসির ছোট ভাই ডেভিড হাসি অস্ট্রেলিয়ার বিগব্যাশে খেলে আসছিলেন।মাঝে তাঁকে আই্পিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্স, কিংস ইলেভেন পঞ্জাব ও চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে সফলভাবে খেলতে দেখা গিয়েছে।বিগব্যাশের বিগ হিটার হিসেবে পরিচিত হাসি অবশ্য ষষ্ঠ আসরে মেলবোর্ন স্টারসের হয়ে সেভাবে নিজের জাত চেনাতে পারেননি।তা সত্ত্বেও দলের বাকি ক্রিকেটারদের অবদানের ফলে এবারের বিগব্যাশের সেমিফাইনালে উঠে এসেছিল গতবারের রানার্স আপ মেলবোর্ন স্টারস।কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবে সেমিফাইনালে পার্থ স্করচার্চের কাছে সাত উইকেটে হার স্বীকার করে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে গেল হাসির সাধের মেলবোর্ন স্টারস।দলের এমন বিদায়ে নিজের ওপর অভিমান করে্ই জীবনের অন্যতম বড় সিদ্ধান্তটা এভাবেই নিয়ে ফেললেন হাসি।