আইপিএলে না থাকা নিয়ে মুখ খুললেন হর্ষ ভোগলে 1

গত বছর (২০১৬) আইপিএলে ধারাভাষ্যকার হিসাবে হর্ষ ভোগলেকে না দেখতে পেয়ে, প্রায় সবাই-ই অবাক হয়ে গিয়েছিলেন।যা নিয়ে ক্রিকেট বিশ্বে প্রচুর হইচই হয়। সেই বিষয় নিয়ে এদিন হর্ষ জানিয়েছেন, এই বিষয়ে তাঁকে সেই সময় কেউ কিছুই বলেনি।

প্রসঙ্গত, গতবার আইপিএল শুরুর আগে, প্রাথমিকভাবে ধারাভাষ্যকারদের যে তালিকা তৈরি করা হয়েছিল, তাতে নাম ছিল হর্ষের। কিন্তু প্রতিযোগিতা শুরুর মাত্র সাত দিন আগে এই ধারাভাষ্যকারকে জানানো হয়, এই কাজে তাঁকে আর প্রয়োজন নেই।বছরের পর বছর হর্ষ ভোগলে বিদগ্ধ ও নিরপেক্ষ ধারাভাষ্য আট থেকে আশি সবাইকে মুগ্ধ করে এসেছে।কিন্তু তারপরে এমন কি ঘটল, যে তাঁকে সরে যেতে হল?

এই প্রসঙ্গে একটি সংবাদ মাধ্যমে হর্ষ বললেন, ‘আমাকে বাদ দেওয়া প্রসঙ্গে যদি কেউ আমাকে বলত যে, তুমি ঠিকঠাক এই কাজটা (ধারাভাষ্য) করতে পারছ না বা তুমি এর নিয়ম-কানুন মেনে চলনি, তাহলে না হয় বুঝতাম।অতীতে অনেক বড় বড় ক্রিকেটারকেই এইভাবে ছেঁটে ফেলা হয়েছে। আমার কাছে এসে এই ব্যাপারে অবশ্য কেউ কিছুই বলেনি।’

টি-২০ বিশ্বকাপ চলাকালীন হর্ষের মন্তব্য নিয়ে ভারতের কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার অবশ্য নিজেদের হতাশার কথা গোপন করেননি।যেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘শচীন তেন্ডুলকরদের সময়ে ধারাভাষ্যকার হিসাবে কি বলছি তা নিয়ে আমার কোনও চাপ ছিল না।’

এই বিষয়ে বলিউড মহাতারকা অমিতাভ বচ্চন টুইট করেছেন, ‘সবার প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, একজন ভারতীয় ধারাভাষ্যকারের উচিৎ অনান্যদের বিষয়ে না বলে, আমাদের দেশের ক্রিকেটারদের নিয়ে বেশী করে কথা বলার।’ পরে এই টুইটটি-রি টুইট করেন তৎকালীন ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিও।শোনা যায়, এরপরে আইপিএলে হর্ষের বিদায় ত্বরান্বিত হয়। ভারতীয় ক্রিকেটে তাঁর বন্ধু কারা? এই প্রশ্নের উত্তরে হর্ষ বলেছিলেন, ‘শচীন তেন্ডুলকর, অনিল কুম্বলে, রাহুল দ্রাবিড়, ভি ভি এস লক্ষ্মনদের সময়টা খুব মিস করি।তখন কাকে কি বলছি, তা নিয়ে কখনোও কোনও চিন্তা-ভাবনা করে বলতে হয়নি।’

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *