আইপিএল ২০২ এর ৪৮তম ম্যাচ গুজরাট টাইটান্স এবং পাঞ্জাব কিংসের মধ্যে নবী মুম্বইয়ের ডিওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে খেলা হয়েছে। এই ম্যাচ পাঞ্জাব ৮ উইকেটে জিতে নেয়। এই ম্যাচে গুজরাটের অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়া টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে গুজরাটের দল সাই সুদর্শনের হাফসেঞ্চুরির সৌজন্যে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান করে পাঞ্জাবকে ১৪৪ রানের লক্ষ্য দেয়। এর জবাবে পাঞ্জাবের দল শিখর ধবনের হাফসেঞ্চুরি আর লিভিংস্টোনের দুর্দান্ত ইনিংসের সৌজন্যে ২০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে এই লক্ষ্য হাসিল করে।
লিভিংস্টোনের দুর্দান্ত ইনিংস গব্বরের হাফসেঞ্চুরি
এই ম্যাচে পাঞ্জাবের হয়ে লিয়াম লিভিংস্টোন ইনিংস গড়ার কাজ করেন। তিনি এই ম্যাচে শামিকে উড়িয়ে দিয়ে দলকে জয় এনে দেন। শামির এক ওভারে লিভিংস্টোন মোট ২৮ রান করেন। এই ম্যাচে লিভিংস্টোন ১০ বলে ২টি বাউন্ডারি এবং তিনটি ছক্কার সাহায্যে অপরাজিত ৩০ রানের ইনিংস খেলেছেন। অন্যদিকে গুজরাটের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত ইনিংস খেলে শিখর ধবন নিজের আইপিএল কেরিয়ারের ৪৭তম হাফসেঞ্চুরি করেন। তিনি ৩৮ বলে নিজের হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। দুর্দান্ত ব্যাটিং করে গব্বর প্রথমে দলের রান ১০০ পার করেন। গুজরাটের বিরুদ্ধে তিনি ৫৩ বলে ৮টি বাউন্ডারি এবং ১টি ছক্কার সাহায্যে অপরাজিত ৬২ রান করেন।
ভানুকার দুর্দান্ত ব্যাটিং, ওপেনার হিসেবে ব্যর্থ বেয়রস্টো
অন্যদিকে এই ম্যাচে ভানুকা রাজপক্ষে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন। ওপেনার জনি বেয়রস্টোর আউট হওয়ার পর তিনি ধবনের সঙ্গে মিলে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করেন। তবে এর মধ্যে তিনি নিজের হাফসেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন। ভানুকা ১টি ছক্কা এবং ৫টি চারের সাহায্যে ৪০ রান করে আউট হন। ফার্গুসন তাকে এলবিডব্লিউ আউট করেন। গুজরাটের বিরুদ্ধে এই ম্যাচে জনি বেয়রস্টো ওপেনিং করার সুযোগ পান। যথেষ্ট সময় ধরে দাবি উঠছিল তাকে দিয়ে ওপেন করানোর। কিন্তু ওপেনার হিসেবে বেয়রস্টো ব্যর্থ হন আর মাত্র ১ রান করে তিনি ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। শামির বলে আউট হন তিনি।
রাবাদা নেন সবচেয়ে বেশি উইকেট
গুজরাটের বিরুদ্ধে এই ম্যাচে কাগিসো রাবাদা সবচেয়ে বেশি তিন উইকেট নেন। তিনি তিনজন গুজরাটের ব্যাটসম্যানকে প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখান। রাবাদা রাহুল তেওটিয়া, রশিদ খান, ঋদ্ধিমান সাহা আর লাকি ফার্গুসনকে আউট করেন। এছাড়া লিভিংস্টোন, ঋষি ধবন এবং অর্শদীপ একটি করে উইকেট নেন। এই ম্যাচে গুজরাটের তরফে সাই সুদর্শন দুর্দান্ত হাসেঞ্চুরি করেন। তার ব্যাট থেকে হাফসেঞ্চুরি তখন বেরয় যখন তার দলের চারজন ব্যাটসম্যান প্যাভিলিয়নে ফিরে গিয়েছিলেন। সুদর্শন ক্রিজে টিকে থেকে ব্যাটিং করেন আর দলকে ১০০ রান পার করান। তিনি ৪২ বলে নিজের হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ছক্কা মেরে। সুদর্শন এই ম্যাচে ৫০ বলে ৫টি বাউন্ডারি এবং ১টি ছক্কার সাহায্যে ৬৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। অন্যদিকে অলজারি জোসেফ ৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিনি ছাড়া ফার্গুসন ৫ অন্যদিকে প্রদীপ ২ রান করে আউট হন।