চোট সারিয়ে প্রায় দু্ই ম্যাচ পর পঞ্জাব ম্যাচে দলে ফিরেছিলেন এবারের আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে ধারাবাহিকভাবে ভালো ব্যাটিং করে যাওয়া রবিন উথাপ্পা। এছাড়া না্ইটদের ব্যাটিং অর্ডারে ছিলেন গৌতম গম্ভীর, সুনীল নারিন, মনীশ পান্ডে, ইউসুফ পাঠানের মতো নাম। তা সত্ত্বেও কেকেআর-এর এই নির্ভরযোগ্য পাঁচ ব্যাটম্যান ৫৫ বল খেলে মাত্র ৪৬ রান করতে সমর্থ হলেন। সেখানে একা ক্রিস লিন ক্রিজে কুম্ভের মতো দাঁড়িয়ে ৫২ বলে ৮৪ রানের মারকাটারি একটা ইনিংস খেলে দিলেন। গোটা দল যেখানে ব্যাট হাতে ব্যর্থ, সেখানে একা লড়াই করেও ক্রিস লিন কিন্তু ওই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে থেকে নিজের দলকে রক্ষা করে বের করতে পারলেন না। যার ফলে মঙ্গলাবরের মোহালিতে ১৪ রানে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের কাছে লজ্জাজনক হার স্বীকার করে চলতি আইপিএলে পয়েন্ট টেবিলে প্রথম দুইয়ে থাকার অংক নিজেরাই কঠিন করে ফেললো কলকাতা নাইট রাইডার্স ।
এমন লজ্জাজনক হারের কারণ খুঁজতে গিয়ে খোদ নাইট নেতা দলের জঘন্য ব্যাটিং পারফরম্যান্সের দিকে আঙুল তুললেন। কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের কাছে হারের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে গম্ভীর মেনে নিয়েছেন, তাঁর এবং রবিন উথাপ্পার আউটটা্ই ম্যাচের রং পাল্টে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ইনিংস যে খারাপ শুরু করেছিলাম তা বলা যাবে না। তবে আমি এবং উথাপ্পা আউট হওয়াটাই ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। পাশাপাশি কৃতিত্ব দিতে হবে টিম পঞ্জাবকে। ওরা আমাদের সহজে রান নিতে দেয়নি। এটাও মেনে নিতে হবে, আমরা অনেক ডট বল খেলেছি। সেটাও হারের আর একটি বড় কারণ।’
প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে, যেখানে ওপেনিং স্লটে সুনীল নারিন ধারাবাহিক নয়, তা সত্ত্বে্ও তাঁকে প্রায় প্রতি ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠিয়ে অকারণে একটা বড় উইকেট হারিয়ে দলকে কী পাহাড়প্রমাণ চাপে ফেলে দেওয়া হচ্ছে না? কেনই বা গম্ভীর নিজে কিংবা উথাপ্পাকে ওপেনিং করতে পাঠাচ্ছেন না? এ ব্যাপারে গম্ভীর অবশ্য বলেন, ‘হ্যাঁ আমি ওপেনিং করতে নামতে পারতাম, রবিনকেও তিন নম্বরে ব্যাট করতে পাঠাতে পারতাম। কিন্তু সত্যি বলতে, সুনীল শুরুর দিকে খুব ভাল হিট করছিল বলেই ওকে ওপেন করতে পাঠিয়েছিলাম। তবে পরের ম্যাচে ওপেনিং কম্বিনেশন পাল্টানোর ব্যাপারে আমাদের ভাবনাচিন্তা করতে হবে।’