শুরু থেকে নজরকাড়া পারফরম্যান্স করে সমর্থকদের মুখে হাসি ফুটিয়েও রাখলেও, শেষ পর্যন্ত বুধবার এলিমিনেটর রাউন্ডের ম্যাচে প্রতিপক্ষ কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে হেরে চলতি আইপিএল থেকে বিদায় নিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। চিন্নাস্বামীতে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে নাইট বোলারদের কাছে রীতিমতো আত্মসমর্পন করে বসলেন ডেভিড ওয়ার্নাররা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে সানরাইজার্সকে মাত্র ১২৮ রানে বেঁধে রাখার পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন কুল্টার নাইল, উমেশ যাদবরা। আর তাই সানরাইজার্সে বিরুদ্ধে ৭ উইকেটের এই ম্যাচ জয়ের শেষে দলের বোলারদের প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন নাইট নেতা গম্ভীর।
জিতেও খুশী নন, আইপিএলে এই বিশেষ পরিবর্তন চান কলকাতা নাইট রাইডার্সের মালিক শাহরুখ খান
এ ম্যাচে কঠিন সময়ে ব্যাট হাতে ১৯ বলে ৩২ রান করে দলকে জয়ের কিনারায় টেনে নিয়ে যাওয়া অন্যতম কারিগর গম্ভীর বলেন, ‘এই ম্যাচ জয়ের ক্ষেত্রে দলের বোলাররাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলো। বোলারদের ১২৮ রানে সানরাইজার্সকে আটকে রাখাটাই কাজে এসেছে। তবে ব্যাটিং করার সময় আমাদের আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। আমাদের হাতে এখন এ ব্যাপারে আলোচনা করার অনেক সময় আছে। এ ক্ষেত্রে এক রান আটকে যাওয়া মানে, চেজ করার ক্ষেত্রে আমাদের কাছে এক রান বেড়ে যাওয়া। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটে বল দারুণভাবে আসছিল। যেটাকে আমরা কাজে লাগাতে পেরেছি।’
অবশেষে ভারতের ভবিষ্যতের ধোনিকে খুঁজে পেলেন রাহুল দ্রাবিড়
মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে হারের পর স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠে যায় দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে নাইটরা সেই রোহিত শর্মাদের বিরুদ্ধে লড়া্ই চালিয়ে জয়ের সরণীতে ফিরতে পারবে তো? এর উত্তরে গম্ভীর বলেন, ‘সত্যি বলতে, আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে আমাদের রেকর্ড খুব একটা ভালো নয়। জানি মুম্বই আমাদের কাছে বড় একটা গাঁট। আশা করছি শুক্রবার সেই রেকর্ডটা আমরা পাল্টা দিতে পারবো।’ এদিকে হেলমেটে বল লেগে মুখে চোট পেয়ে বেশ কয়েক’টি ম্যাচে দলের বাইরে ছিলেন কেকেআর পেসার কুল্টার নাইল। আর এই ম্যাচে কামব্যাক করে একাই সানরাইজার্সের তিনটি উইকেট তুলে তাদের কোমর ভেঙে দেন। ম্যাচ শেষে ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিতে এসে কুল্টার নাইল বলেন, ‘ আজ বল করার সময় খুব ক্লান্ত লাগছিল। মাথাটাও বেশ ধরেছিল। তবে শেষমেশ দলের হয়ে ভাল বোলিং করতে পেরে আমি খুব খুশি। কলকাতার এবং বেঙ্গালুরুর পিচটা কিন্তু একদম আলাদা। কলকাতার উইকেটে যেমন দারুণ পেস আছে, ঠিক তেমন চিন্নাস্বামীর উইকেট খুব স্লো।’