ইডেন জয়ের পর, বিশেষ এক ঘোষণায় সারা দেশের মন জিতে নিলেন গম্ভীর 1

ঘরের মাঠের অ্যাডভান্টেজ নিয়ে শুক্রবার ইডেনে আইপিএলের একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। এই জয়ের ফলে ৯ ম্যাচের ৭টিতে জিতে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে থেকে গেল কেকেআর। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস আটকে যায় ১৬০ রানে। জবাবে নাইটরা মাত্র ১৬.২ ওভারে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। কলকাতার এই জয়ের ক্ষেত্রে ব্যাট হাতে বিশেষ অবদান রাখেন রবিন উথাপ্পা (৫৯) এবং অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর (৭১*)। উথাপ্পা উইকেট হারিয়ে মধ্যিখানে সাজঘরে ফিরে গেলেও, গম্ভীরকে শেষ পর্যন্ত দলের জয় তুলে আনার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়। যার ফলে এদিনের ম্যাচ সেরার পুরস্কারটিও ওঠে নাইট নেতা গৌতির হাতে।

সুকমার শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন কেকেআর অধিনায়ক, জেনে নিন কীভাবে সাহায্যের হাত বাড়ালেন

ইডেনের ২২ গজে ব্যাট হাতে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস বোলারদের কচুকাটা করে আগেই কেকেআর সমর্থকদের মন জিতে নিয়েছিলেন গম্ভীর। আর ম্যাচের সেরা হওয়ার পুরস্কার নিতে এসে গোটা দেশের সাধারণ মানুষের হৃদয় জিতে নিলেন তিনি। ছত্তিশগড়ের সুকমায় মাওবাদীদের হামলায় নিহত হওয়া ২৫জন সিআরপিএফ জওয়ানের সন্তানদের পড়াশুনোর যাবতীয় খরচ বহন করবেন বলে জানিয়েছিলেন গম্ভীর। এদিন ম্যান অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কার হিসেবে পাওয়া নগদ অর্থটুকুও নাইট নেতা সেই নিহত জওয়ানের পরিবারের হাতে তুলে দেবেন বলে জানিয়ে দিলেন। পাশাপাশি এদিন ইডেনে দলের দারুণ জয় সম্পর্কে গম্ভীর বলেন, “আমাদের এখনও অনেক লম্বা রাস্তা অতিক্রম করতে হবে। এই জয়ের আনন্দে ডুব দিতে চাই না। একবার নিজেদের গতি হারিয়ে ফেললে, সেই গতিতে ফিরে আসা কঠিন হয়ে যায়। তবে আজ দলের ছেলেরা দারুণ খেলেছে। দিল্লির ভালো শুরু হওয়ার সত্ত্বেও ওদেরকে ১৬০ রানে আটকে দিলাম।”

একটু থেমে নাইট নেতা আরও বলেন, “প্রথমে আমারও মনে হয়েছিল, প্রথমে ব্যাট করার বিষয়টি। কিন্তু আমাদের টিম রান তাড়া করেও জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে গেল। উথাপ্পা ম্যাচে যেভাবে শট নিল, আমি সত্যি এভাবে কাউকে শট খেলতে দেখিনি। আমাদের দলে যারা খেলছে, তারা কিন্তু নিজেদের যোগ্যতায় দলে ঢুকেছে। যদি কোনও ক্রিকেটারের ওপর আপনি ভরসা করেন, সেও খেলায় নিজেকে প্রমাণ করার জন্য মরিয়া হয়ে থাকে।যদিও আমার মনে হয়, দলের ফিল্ডিংয়ে কিছু পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে। কারণ, ভালো ফিল্ডিং করে প্রতিপক্ষের ১০-১৫ রান আটকে দিলে, যেকোনও ম্যাচ জেতা অনেক সহজ হয়ে যায়।”

কেকেআর অধিনায়কের চোখে জাতীয় দলের সেরা অধিনায়কটি কে, জানলে আপনিও অবাক হবেন!

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *