ক্রিকেটের প্রতি তাঁর ভালোবাসার গভীরতা আর পাঁচটা ক্রিকেটারের চেয়ে অনেকবেশি, সেটা কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর বার বার প্রমাণ করেছেন। পাশাপাশি তাঁর দেশপ্রেম এরইমধ্যে দেখে ফেলেছে গোটা বিশ্বও। তিনি নিজের দেশকে কতটা ভালোবাসেন তা শুধু কথার ফুলঝুরিতে বোঝাননি, রীতিমতো তার প্রমাণও দিয়েছেন গম্ভীর। দেশের শত্রুদের বিরুদ্ধে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইটে বার বার গর্জে উঠেছে তাঁর কন্ঠ। কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সেখানকার সেনাবাহিনীর জওয়ানের ওপর আক্রমণ চালানোর ভিডিও দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়ে কেকেআর নেতা বলেছিলেন, “আমাদের সেনা জওয়ানকে মারা একটা চড়ের পরিবর্তে ১০০টি জেহাদির প্রাণ নেওয়া হবে। যারা স্বাধীনতা চাইছো, তারা যেন এদেশ ছেড়ে চলে যায়। কাশ্মীর আমাদের।”
ক’দিন আগে ছত্তিশগড়ের সুকমায় মাওবাদীদের হামলায় নিহত হয়েছেন সিআরপিএফের ২৫জন জওয়ান।পরের দিন সুকমায় মাওবাদী হামলার ঘটনা সংবাদপত্রে দেখে খুবই কষ্ট পেয়েছেন দিল্লির বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান গৌতম গম্ভীর। সংবাদপত্রে নিহত দুই জওয়ানের ছোট্ট মেয়ের অশ্রুসিক্ত ছবি প্রকাশিত হয়। যেটা রীতিমতো গম্বীরের হৃদয়কে নাড়া দিয়ে গিয়েছিল। তিনি তখনই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন নিহত জওয়ানদের পরিবারের পাশে দাঁড়াবেন। তাঁদের ছেলেমেয়ের পড়াশোনার যাবতীয় দায়িত্ব নেবেন। পরে সে ব্যাপারে তাঁর সংস্থা ‘গৌতম গম্ভীর ফাউন্ডেশন’ প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু করে দেয়। তাঁর মতো এক ক্রিকেটারকে এমন মহৎ কাজে যুক্ত হতে দেখে গর্বিত ভারতীয় ক্রিকেট। এরপর সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইটে রীতিমতো প্রশংসার বন্যায় ভেসে যান গম্ভীর। তাতে অবশ্য বিশেষ হেলদোল নেই নাইট নেতার। তিনি মনে করেন, একজন দেশভক্ত হিসেবে সবার এই ধরণের কাজে এগিয়ে আসা উচিত।
সুকমার শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন কেকেআর অধিনায়ক, জেনে নিন কীভাবে সাহায্যের হাত বাড়ালেন
এই মুহূর্তে দূরন্ত ক্রিকেট খেলে আইপিএলের মগডালে উঠে এসেছে গম্ভীরের টিম কেকেআর। সামনের আরও কয়েক’টি ম্যাচে জয় তুলে নিলে প্লে অফের টিকিট নিশ্চিত হয়ে যাবে তাঁদের। পরবর্তী ম্যাচগুলিতে দল কোন প্ল্যানে এগিয়ে যাবে সেটা গম্ভীরের মাথায় থাকলেও, ছত্তিশগড়ের মাওবাদী হামলার ঘটনাটি আজও তাঁর মনকে নাড়া দেয়, সেটা স্বীকার করে নিলেন তিনি। এ ব্যাপারে নাইট নেতা গম্ভীর বলেন, “ছত্তিশগড়ে ওইরকম ঘটনার পর সত্যি খেলায় মনোসংযোগ করা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছিল। গত বুধবার সকালে সংবাদপত্রে নিহত সিআরপিএফ জওয়ানদের দুই মেয়ের ছবি দেখে খুবই খারাপ লেগেছিল। একজন আবার তার মৃত বাবাকে স্যালুট দিচ্ছিল। সে ছবি আমার মনকে নাড়া দিয়েছিল। তখনই সিদ্ধান্ত নিই, মৃত জওয়ানদের ছেলেমেয়ের পড়াশোনার যাবতীয় দায়িত্ব আমি নেব।”
ইডেন জয়ের পর, বিশেষ এক ঘোষণায় সারা দেশের মন জিতে নিলেন গম্ভীর