ক্রিকেট বিশ্বকাপের এতোবছরের ইতিহাসে, এমনটা এর আগে কখনও দেখা যায়নি।যা ১৪ ই জুলাই লর্ডসে সাক্ষী থাকলো সকলে।এক রুদ্ধ শ্বাস বিশ্বকাপ ক্রিকেট ফাইনাল উপহার দিলো নিউজিল্যান্ড – ইংল্যান্ড।পাশাপাশি এই প্রথমবার বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় দেখতে পাওয়া গেলো সুপার ওভার।
অনেকেই এবারের বিশ্বকাপ ফাইনাল কে সর্বকালের সেরা ফাইনালের তকমা দিচ্ছে।এদিন ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।৫০ ওভার শেষে তারা করেন ২৪১ রান।এদিন নিউজিল্যান্ডের উপর দুরন্ত চাপ সৃষ্টি করেছিল ইংল্যান্ডের বোলাররা।ক্রিস ওকস এবং লিয়াম প্লান্কেট নিয়েছিলো তিনটি করে উইকেট।অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডের হয়ে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ৫০ রানের গন্ডি পেরোয় হেনরি নিকোলস।
পরবর্তী সময়ে চেজ করতে নেমে এদিন দারুণ খেলেছেন ইংল্যান্ডের তারকা অলরাউন্ডার বেন স্টোকস।যদিও শেষ ওভারে টেন্ট বোল্টের দারুণ বোলিং ম্যাচটিকে নিয়ে যায় ” টাই ” তে।শেষ বলে দরকার দুই রান এমন সময় মার্ক উডকে ক্রিজে ঢোকার আগেই আউট করে দেন নিউজিল্যান্ডের উইকেট কিপার টম ল্যাথাম।ম্যাচে শেষ অবধি নট আউট থাকে বেন স্টোকস ৯৮ বলে ৮৪ রান করে।এরমধ্যে আছে পাঁচটি চার এবং দুটো ছয়।
এদিন ম্যাচের ফলাফল অন্যরকম হতেই পারতো ,সব সমীকরণ বদলে দিয়েছিল শেষ ওভারে টেন্ট বোল্টের একটি ডেলিভারি কে স্টোকসের ডিপে পাঠানো।এরপর মার্টিন গুপ্টিলের করা থ্রো এসে ছোয় স্টোকসের ব্যাট কারণ সেই সময় দুই রান নেওয়ার তাগিদে ডাইভ মেরেছেন স্টোকস।যা তার ব্যাট ছুঁয়ে পৌঁছে যায় বাউন্ডারি লাইনে।
What a final it was .. the best in last 20 years and still level at super over … Kane Williamson..what an ambassador of the game .. well done eoin morgan and england pic.twitter.com/G5B96PGycz
— Sourav Ganguly (@SGanguly99) July 14, 2019
এরপর ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।সুপার ওভারে স্টোকস এবং বাটলার ইংল্যান্ড কে পৌঁছে দেয় ১৫ রানে।পরবর্তী সময়ে নিউজিল্যান্ডের হয়ে ব্যাটিং করতে নামে জিমি নিশ্যাম এবং মার্টিন গুপ্টিল।জোফ্রা আর্চারের বলে তারাও শেষ অবধি পৌছায় ১৫ রানে।কিন্তু ম্যাচে বাউন্ডারি মারার বিচারে শেষ অবধি বিশ্বকাপ জিতে নেয় ইংল্যান্ড।
এদিন ম্যাচের পর টুইটে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী লেখেন,গত কুড়ি বছরে এটাই সবচেয়ে রোমান্চকর ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনাল।কেন উইলিয়ামসন…অসাধারণ … অভিনন্দন ইওন মর্গ্যান এবং ইংল্যান্ড ।