ভারত আর ইংল্যান্ডের মধ্যে চলা টেস্ট সিরিজে ভারত প্রথম দুটি টেস্ট হেরে গিয়েছে, আর এই দুই ম্যাচ হারার পর টিম ইন্ডিয়ার খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে দারুণ ক্ষোভ প্রকাশ হয়ে চলেছে। প্রথম ম্যাচে ভারতীয় দল ইংল্যান্ডকে কড়া টক্কর দিয়েছিল, কিন্তু দ্বিতীয় টেস্টে ভারতীয় দল ইংল্যান্ডের সামনে আত্মসমর্পন করে দেয়। অধিনায়ক বিরাতের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচে দিলে পরিবর্তন করার দাম চোকাতে হয়। ভারতের সমস্ত ব্যাটসম্যানদেরই ইংরেজ বোলারদের সামনে অসহায় দেখিয়েছে,একমাত্র রবিচন্দ্রন অশ্বিনই একমাত্র এমন ভারতীয় ব্যাটসম্যান যিনি দুই ইনিংসেই নিজের কাজ দারুণভাবে পালন করেছেন।
কোহলির খারাপ অধিনায়কত্ব করেছে টিম ইন্ডিয়ার হালত খারাপ
গৌতম গম্ভীর ভারতের হালত দেখে কথা বলতে গিয়ে দ্বিতীয় টেস্টের ব্যাপারে বলেন, “ দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিন ইংল্যান্ড নিজের করে নিয়েছে। ভারতীয় দলের এই সুযোগে আরও একজন জোরে বোলারের প্রয়োজন ছিল, যার অভাব ভারত ম্যাচের তৃতীয় দিন অনুভব করে। ইংল্যান্ডের ৮৯ রানে ৪ উইকেট পড়ার পর ম্যাচ ভারতের পক্ষেই ছিল, কিন্তু তারপর ক্রিস ওকস আর জনি বেয়রস্টোর লম্বা পার্টনারশিপ ম্যাচ ইংল্যান্ডের পক্ষে এনে দেয়। ইংল্যান্ডের দুই ব্যাটসম্যানই রণনীতি নিয়ে খেলেছেন ওদের কেবল ইশান্ত আর শামির বোলিংয়ের মুখোমুখি হতে হত, যা ওরা দেখে শুনে করেছে, কিন্তু স্পিন বোলারদের জন্য পিচে কিছুই ছিল না”।
দলের এই প্রদর্শনে নিরাশ হয়েছি
নিজের কথার আগে বাড়াতে গিয়ে এই তারকা বোলার জানান, “ ইংল্যান্ডের তরফে লর্ডস টেস্ট হওয়া সেঞ্চুরি পার্টনারশিপের কারণেই ঘরের দলকে ২৫০ রানের লীড এনে দেয়। এই পার্টনারশিপে জনি বেয়রস্টো ৯৭ আর ক্রিস ওকস নিজের কেরিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেন।বোলিং কথা বলতে গেলে মহম্মদ শামি আর ইশান্ত দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। অন্যদিকে দল আরেকজন সীমারের অভাব অনুভব করে। লর্ডসে টিম ইন্ডিয়ার যে ধরনের প্রদর্শন ছিল তা ভীষণই লজ্জাজনক ছিল, আমরা এই ম্যাচে লড়াই পর্যন্তও করি নি, আর প্রথম দিনই ময়দান ছেড়ে দিই। আমি ব্যক্তিগতরূপে এই হারে ভীষণই নিরাশ হয়েছি”।