লন্ডন, ৩ ফেব্রুয়ারি: অপেক্ষা আর মাত্র তিন সপ্তাহের, এরপরই শুরু হচ্ছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজ। তার আগে কেভিন পিটারসেন বলছেন, অস্ট্রেলিয়া যদি স্পিন খেলা শিখতে না পারে, তাহলে তাদের ভারতে না যাওয়াটাই ভাল। টেস্ট র্যাঙ্কিং বা সাম্প্রতিক ফর্ম যাই হোক না কেন, গত দেড় দশকে ভারত সফরে যাওয়া সবচেয়ে দুর্বল অস্ট্রেলিয়া বোধহয় স্টিভ টিমের দলটাই। গত বছরই সাঙ্গাকারা-জয়াবর্ধনে বিহীন শ্রীলঙ্কায় গিয়েও হোয়াইটওয়াশ হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ভারত সিরিজের আগেও তাই স্পিনের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার দুর্বলতাটাই আলোচনায় আসছে বারবার। এই বিষয়ে পিটারসেনের সোজাসাপ্টা বক্তব্য, ‘খুব দ্রুত স্পিন খেলা শিখে ফেলো। যদি স্পিন খেলতে না পারো, তাহলে ভারতে যাওয়ার দরকার নেই।’
এরপরই অবশ্য স্পিন শেখার উপায় বাতলে দিয়েছেন কেপি। তিনি বলেন, ‘ভারতে গেলে স্পিনের সামনে অনুশীলন করার সুযোগ হবে। তবে সেই অনুশীলন চাইলে অস্ট্রেলিয়াতেও করা যেতে পারে। আমি নিজেই দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটে অনুশীলন করেছি। আগে নিশ্চিত করেছি আমার পা বলের লাইনে যাচ্ছে, বোঝার চেষ্টা করেছি বলের লেংথ। এটা যে কোন উইকেটেই করা যায়। বলের লেংথ বোঝা আর সেই অনুযায়ী পা নিয়ে যাওয়াতেই সাফল্য আসবে।’
পিটারসেনের এই টিপস অবশ্যই নেওয়া উচিত অস্ট্রেলিয়ার। শেষবার ভারতে সিরিজ জিতেছে যে ইংল্যান্ড দল, ২০১২ সালে সেই দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া এই ব্যাটসম্যান। ৪৮.২৯ গড়ে ৩৩৮ রান করে দলকে সিরিজ জেতানোয় রেখেছিলেন বড় ভূমিকা। আর উপমহাদেশে অস্ট্রেলিয়ার ফর্মটা একদমই ভাল নয়। শেষ ২০ টেস্টে মাত্র তিনটি জয়। এর মধ্যে দুটি অবশ্য বাংলাদেশের বিরুদ্ধে।
শুরুতেই ভয় দেখিয়ে দিলেও, পিটারসেন কিন্তু আশাও দেখাচ্ছেন স্মিথদের। বলেন, ‘যদি ১৫০ কিলোমিটার গতির বল খেলার জন্য জায়গায় যাওয়া যায়। তার মানে সেই ব্যাটসম্যানের হাতে অনেক সময় আছে। ৫০ মাইল গতির বলে চাইলেই খুব সহজেই জায়গায় যাওয়া যাবে। আমি ভারতে গিয়ে নিজের খেলা পরিবর্তন করিনি, শুধু স্পিন খেলার সময় আমার ফুটওয়ার্ক বদলেছি।’ উল্লেখ্য, ২৩ ফেব্রুয়ারি ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার প্রথম টেস্ট শুরু হবে পুণেতে।