ভারতীয় ক্রিকেট দলের উইকেটকীপার ব্যাটসম্যান দীনেশ কার্তিক আজ নিজের জীবনের ৩৩টি বসন্ত পূর্ণ করে ফেললেন। আজ নিজের তেত্রিশতম জন্মদিন পালন করছেন কার্তিক। কৃষ্ণকুমার দীনেশ কার্তিকের জন্ম ১ জুন ১৯৮৫তে তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাইতে হয়েছিল। ছেলেবেলা থেকে কার্তিকের ক্রিকেটের প্রতি প্যাশান ছিল।
দীনেশ কার্তিক পূর্ণ করলেন ৩৩ বছর, দীপিকা পাল্লিকেল দিলেন বিশেষ আন্দাজে শুভেচ্ছা
দীনেশ কার্তিক তার জন্মদিনে পুরো ক্রিকেট জগত থেকেই শুভ কামনা পাচ্ছেন। একই ভাবে কার্তিকের স্ত্রী এবং ভারতীয় স্কোয়াশ প্লেয়ার দীপিকা পাল্লিকেল বিশেষ আন্দাজে নিজের স্বামীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। দীনেশ কার্তিকের জন্মদিনে দীপিকা নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি গল্প পোষ্ট করে এই জন্মদিনকে স্মরনীয় করে তোলার প্রয়াস করেছেন।
নিজের স্বামীর জন্মদিনকে বিশেষ আন্দাজে দীপিকা স্মরণ করলেন
দীপিকা পাল্লিকেল একজন মহিলা স্কোয়াশ প্লেয়ার হওয়ায় বেশিরভাগ সময়েই নিজের ম্যাচ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। ফলে তিনি তার স্বামী দীনেশ কার্তিকের সঙ্গে বেশি সময় কাটাতে পারেন না। এক দম্পতির মধ্যে দুজনেই খেলোয়াড় হওয়ায় তাদের এক সঙ্গে সময় কাটানো সামান্য মুশকিলই হয়। ফলে দীপিকা এই বিশেষ আন্দাজে কার্তিককে জন্মদিনের শুভকামনা জানিয়েছেন।
ক্রিকেট পছন্দ করেন না দীপিকা
অন্যদিকে কার্তিকের স্ত্রী দীপিকা কখনও কার্তিকের খেলা দেখতে যান না সেই সঙ্গে ক্রিকেট খেলা নিয়েও তার কোনও আগ্রহ নেই। যা নিয়ে কার্তিক জানিয়েছেন, “ আমার স্ত্রী কখনওই আমার কোনও ম্যাচ দেখেন নি। ও চিন্তায় পড়ে যায়। ওর বোনেরা ম্যাচ দেখে। ওদের এটা পছন্দের খেলা। টিভিতে ও (দীপিকা) স্কোয়াশ ম্যাচ দেখে, ক্রিকেটে ওর রুচি নেই”।
প্রথম স্ত্রী ধোকা দেওয়ার পর ডিভোর্স দেন
দীপিকা কার্তিকের দ্বিতীয় স্ত্রী। কার্তিকের প্রথম স্ত্রী নিকিতার সঙ্গে তার ডিভোর্স হয়ে যায়। এর গল্পও বেশ মজাদার। ২০০৭এ কার্তিক তার ছেলেবেলার বান্ধবী নিকিতাকে বিয়ে করেন। কিন্তু আইপিএল চলাকালীন তার তামিলনাড়ুর সতীর্থ খেলোয়াড় মুরলী বিজয়ের সঙ্গে নিকিতার ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। আইপিএলের পঞ্চম সংস্করণে যখন কার্তিক ব্যাপারটা জানতে পারেন, তখন বাচ্চাদের অধিকার ছেড়ে দিয়েই নিকিতার কাছ থেকে ডিভোর্স নিয়ে নেন কার্তিক।
২০১০ থেকেই মহিলা স্কোয়াশ প্লেয়ারের সঙ্গে হয় বন্ধুত্ব
কার্তিক এবং দীপিকা একে অপরকে ২০১০ থেকেই চিনতেন। তাদের প্রথমবার দেখা হয়েছিল জিমে। দুজনে একই কোচের আন্ডারে ট্রেনিং নেওয়ায় খুব ভাল বন্ধু হয়ে যান, কিন্তু দুজনের মধ্যে প্রেমের মত কিছুই ছিল না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কার্তিক এবং দীপিকার বন্ধুত্ব গাঢ় হয়। এবং ২০১৩য় তার প্রেমে বদলে যায়। ওই বছরই ডিভোর্সের পর কার্তিক ঘরোয়া ক্রিকেট খেলছিলেন এবং দীপিকা ইংল্যান্ডে মিডোউড ফারেন্সী টুর্নামেন্ট খেলছিলেন।
এই টুর্নামেন্টের খেতাম দীপিকা নিজের নামে করেন, এবং হঠাত করেই কার্তিক দীপিকার সঙ্গে দেখা করতে ইংল্যান্ডে পৌঁছে যান। যা দীপিকার ভীষণ পছন্দ হয়। এরপরই সুযোগ বুঝে কার্তিক ২০১৩র জুনে দীপিকাকে বিয়ের জন্য প্রপোজ করেন। এবং নভেম্বর ২০১৩য় তাদের ক্রিশ্চান এবং হিন্দু মতে বিয়ে হয়ে যায়।