গতকাল শারজায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের কাছে লজ্জাজনক ভাবে হারে কলকাতা নাইট রাইডার্স। এর পর নাইট সমর্থকদের মনে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল, এই ম্যাচে কেন খেলেননি সুনীল নারাইন? নারাইনের জায়গায় এই ম্যাচে খেলেছিলেন ইংরেজ ব্যাটসম্যান টম ব্যান্টন, যিনি নিজের প্রথম ম্যাচে ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন। কিন্তু প্রশ্ন ছিলই, ঠিক কি কারণে নারাইনের মত তারকা অলরাউন্ডারকে দলে রাখা হয়নি? সেই প্রশ্নের জবাব দিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্স অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক।
এর আগে আবু ধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে থ্রিলার ম্যাচ জিতেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। সেই ম্যাচে শেষ ওভারে দারুণ বল করে নাইটদের ম্যাচ জেতান সুনীল নারাইন। কিন্তু ম্যাচের পরে ম্যাচ রেফারি এবং অন ফিল্ড আম্পায়ারদের বিচার অনুযায়ী তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সুনীল নারাইনের বোলিং অ্যাকশনে সন্দেহজনক কিছু দেখা গিয়েছে। সেই কারণেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ম্যাচ খেলেননি নারাইন।
ম্যাচ শুরুর আগে যখন অধিনায়ক দীনেশ কার্তিককে জিজ্ঞাসা করা হয় যে কেন দলে নেই সুনীল নারাইন, তার জবাবে কার্তিক বলেছেন, “আমরা আমাদের আবেদনের বিবৃতি জমা দিয়েছি, আপনারা সেটি দেখে নিতে পারেন। আমরা আমাদের বিবৃতি সেখানে দিয়েছি।” অর্থাৎ, দুবাইয়ের আইসিসি অ্যাকাডেমিতে নিজের বোলিং অ্যাকশন শুধরে নিয়েই হয়ত মাঠে নামবেন সুনীল নারাইন।
যদিও এই মুহুর্তে বোলিং করতে পারবেন ক্যারিবিয়ান মিস্ট্রি স্পিনার সুনীল নারাইন, কিন্তু আরও একবার সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশন ধরা পড়লে সাসপেনশনের শাস্তি আবারও ভুগতে হবে তাকে। এর জেরে আগেও ভুগেছিল নারাইন ও কলকাতা নাইট রাইডার্স। যার জেরে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে আইপিএল এর গর্ভনিং কাউন্সিলের সাথে এই বিষয়ে সাহায্য করার ইঙ্গিত দিয়েছে দুইবারের আইপিএল জয়ী ফ্র্যাঞ্চাইজি। বিবৃতির মাধ্যমে তারা জানিয়েছে, “গত ১০ অক্টোবর আবু ধাবিতে হওয়া কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব বনাম কলকাতা নাইট রাইডার্স ম্যাচে সুনীল নারাইনের বোলিং অ্যাকশনটিকে সন্দেহজনক হিসেবে রিপোর্ট করা হয়েছিল। এটি নারাইন এবং ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছে অত্যন্ত অবাকের, যেখানে নারাইন ২০১২ সাল থেকে ১১৫টির বেশি ম্যাচ খেলেছেন এবং এর আগে রিপোর্ট হওয়ার পর ২০১৫ থেকে ৬৮টি ম্যাচ খেলেছেন। এর আগে যখন তিনি রিপোর্ট হয়েছিল তখন তিনি আইসিসি স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান শ্রী রামচন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ হায়ার এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চে পুরোপুরি ক্লিয়ার হয়েছেন।”
২০১৫ সালের আইপিএল এও সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের জন্য বিসিসিআই এর তরফ থেকে একবার সতর্ক বার্তা পেয়েছিলেন। যদিও সেই বছরের নভেম্বরে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ওয়ান ডে ম্যাচে সন্দেহজনক অ্যাকশনের জন্য সাসপেন্ড হয়েছিলেন। এর ফলে আইসিসির তরফ থেকে গ্রিন সিগন্যাল না পাওয়া অবধি নিজের বোলিং অ্যাকশন শুধরানোর চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন সুনীল নারাইন। যদিও তারপর কিছু বছর নতুন বোলিং অ্যাকশন নিয়ে আগের মত অতটা প্রভাবশালী হয়ে উঠতে পারছিলেন না নারাইন। আবার ২০১৮ সালের মার্চ মাসে, পাকিস্তান সুপার লিগে আবারও সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের জন্য ওয়ার্নিং পান নারাইন।