টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি ২০১৪য় অস্ট্রেলিয়া সফরে নিজের টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। যদিও সীমিত ওভারের সঙ্গে সঙ্গে মাহির জয়ের হার টেস্ট ক্রিকেটেও ভালো ছিল। সেই সময় দলে সমস্ত বড় বড়ো খেলোয়াড়রা উপস্থিত ছিলেন, যারা মাহিকে টেস্ট ক্রিকেটে সেই উচ্চতায় পৌঁছতে সাহায্য করেছিলেন। কিন্তু এখন ধোনির প্রাক্তন সতীর্থ খেলোয়াড় গৌতম গম্ভীর বলেছেন যে জাহির খানের কারণে ধোনি টেস্টে সফলতা পেয়েছিলেন।
জাহির খানের কারণে টেস্টে সফল হয়েছেন ধোনি
মহেন্দ্র সিং ধোনিকে ২০০৮ এ অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খেলা হওয়া টেস্ট সিরিজে প্রথমবার টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব দেওয়া হয়। এরপর মাহি সীমিত ওভারের ক্রিকেটের মতো টেস্টেও যথেষ্ট ভালো অধিনায়কত্ব করেছেন আর ভালো জয়ের হারের সঙ্গে নিজের টেস্ট কেরিয়ার শেষ করেছেন। এখন ক্রিকেট কানেক্টেড শো চলাকালীন গৌতম গম্ভীর ধোনির এই সফলতার শ্রেয় প্রাক্তন জোরে বোলার জাহির খানকে দিয়েছেন। তিনি বলেন,
“টেস্ট ক্রিকেটে ধোনির এত সফল অধিনায়ক হওয়ার কারণ জাহির খান। ওকে ধোনি পেয়েছেন, এটা ধোনির ভাগ্য ছিল, যার শ্রেয় গাঙ্গুলীর। আমার হিসেবে জাহির ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ বিশ্বস্তরীয় বোলার থেকেছেন”।
ধোনির কাছে ছিল বড়ো খেলোয়াড়
টিম ইন্ডিয়া ২৮ বছর দীর্ঘ অপেক্ষার পর ২০১১য় বিশ্বকাপ ট্রফি জিতেছিল। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে হওয়া ওই ফাইনাল ম্যাচে গম্ভীর ৯৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন। তো অন্যদিকে মহেন্দ্র সিং ধোনি শেষে ছক্কা মেরে দলকে জয় এনে দিয়েছিলেন। বিশ্বকাপ ২০১১র দলে বেশকিছু ম্যাচ উইনার উপস্থিত ছিলেন, যার সাহায্যে মাহি এই খেতাব জেতেন। এখন গম্ভীর ২০১১ বিশ্বকাপকে স্মরণ করে বলেছেন,
“ধোনি ভীষণই ভাগ্যবান অধিনায়ক থেকেছেন, কারণ ও প্রত্যেক ফর্ম্যাটে একটা অদ্ভুত দল পেয়েছিল। ২০১১১ বিশ্বকাপ দল ধোনির জন্য ভীষণই সহজ ছিল কারণ আমাদের কাছে শচীন, সেহবাগ, স্বয়ং ধোনি, যুবরাজ, ইউসুফ, বিরাটের মতো খেলোয়াড় ছিলেন, এই কারণে ও সর্বশ্রেষ্ঠ দল পেয়েছিল, অন্যদিকে গাঙ্গুলীকে এর জন্য অনেক মেহনত করতে হয়েছিল, আর পরিণামস্বরূপ ধোনি এতগুলো ট্রফি জিতেছে”।
ধোনির টেস্টে জয়ের হার
মহেন্দ্র সিং ধোনিকে ২০০৮ এ ভারতের টেস্ট দলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এরপর মাহি ৬০টি টেস্ট ম্যাচে ভারতীয় দলের অধিনায়কত্ব করেছিলেন। এর মধ্যে ২৭টি মতাচে ধোনি জয় পান এবং ১৮টি ম্যাচ হারেন। মাহির জয়ের হার ৪৫% ছিল। জাহির খান এমএসের অধিনায়কত্বে ৩৩টি টেস্ট ম্যাচ খেলেন, যার মধ্যে তিনি ১২৩টি উইকেট নেন।