বর্তমান সময়ে বিশ্বের অন্যতম সেরা ফিট খেলোয়াড়ের তালিকায় অন্যদের পাশাপাশি দেখা যায় মহেন্দ্র সিং ধোনির নামটা।আর যখন ‘রানিং বিটুইন দ্য উইকেট’ এর প্রসঙ্গ আসে, সেখানে ক্যাপ্টেন কুল ধোনির ধারে কাছে কেউই আসে না।তিনি সব সময় মনে করেন, ম্যাচে চার-ছয় রানের চেয়ে অনেকবেশি গুরুত্বপূর্ণ খুচরো এক কিংবা দুই রান নেওয়া। আর তাই ম্যাচে ব্যাট করার সময় তাঁকে প্রায়ই ঝুঁকি নিয়ে সিঙ্গল রান নিতে দেখা যায়। এই মুহূর্তে মাহির বয়স ৩৫। তা সত্ত্বেও তাঁর দৌড়ের গতি বাকিদেরকে অনেকটা পিছনে ফেলে দেয়। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ধোনির রান আউট আজও কেউই ভোলেননি। খেলার প্রতি তাঁর টানই মাহির ফিটনেসের আসল কারণ বলে মনে করেন অনেকে।সম্প্রতি জানা গিয়েছে, ধোনির রানিং বিটুইন দ্য উইকেট-র দৌড় নাকি বিশ্বের দ্রুততম মানব জামাইকান স্প্রিন্টার উইসেইন বোল্টের গতির চেয়েও বেশি।
ধোনির ইস্তফার ব্যাপারে সৌরভ গাঙ্গুলি যা বললেন …
২০০৬ সালে ভারত মারগাঁও-এ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটি একদিনের ম্যাচ খেলেছিল। সে ম্যাচে জেমস আন্ডারসন ব্যাটসম্যান ধোনির লেগ স্ট্যাম্পে একটি ওয়াইড বল করে ফেলেন। বলটি ধরে ইংরেজ উইকেটরক্ষক ক্রিজে রান নেওয়ার চেষ্টায় থাকা ধোনির দিকে ছুঁড়ে উইকেট ভেঙে দেন।বল উইকেটে লেগে থেমে যাওয়ার সুযোগ নিয়ে ধোনি একটি খুচরো রান নিয়ে ফেলেন। তখনও ইংল্যান্ডের উইকেটরক্ষক মাটিতে পড়ে আছে দেখে মাহি ওই অল্প সময়ের মধ্যে আরও একটি মূল্যবান রান নিয়ে ফেলেন।
এখানে দেখে নিন ভিডিওটি
ধোনিকে রান নিতে দেখে ইংল্যান্ড উইকেটরক্ষক গ্রেন্ট জোন্স তাঁকে রান আউট করতে উদ্যত হলেও, তিনি ভারত অধিনায়কের রানিং বিটুইন দ্য উইকেট’-এর গতির কাছে হার স্বীকার করে বসেন।পরে হিসাব করে দেখা গিয়েছে ধোনি প্যাড পরে প্রায় ২০ মিটার দৈর্ঘ্য অতিক্রম করে দ্বিতীয় রানটি নিয়েছিলেন মাত্র ২.৭ সেকেন্ডে। যেটা বিশ্বের অন্যতম সেরা দৌড়বিদ উইসেইন বোল্টের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে।