দলের সর্ব জ্যেষ্ঠ খেলোয়ার। ৩৫ বছর বয়স হলেও, তাঁর তেজ দেখে বোঝার উপায় নেই। লম্বা ওভার বাউন্ডারি মেরে একাধিক ম্যাচ জিতিয়েছেন তিনি। কার্যত এটাই তাঁর ধর্মে পরিণত হয়ে গিয়েছে। জাতীয় দলের পাশাপাশি এবার সেই একই কায়দায় নিজের রাজ্যের দলকে জেতালেন ভারতের প্রাক্তণ অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। দায়িত্ব নিয়ে সেমিফাইনালে নিয়ে গেলেন ঝাড়খন্ডকে।
বুধবার পালাম স্টেডিয়ামে ধোনির ঝাড়খন্ড ও বিদর্ভ বিজয় হাজারে ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল। টসে জেতার পর বিদর্ভের অধিনায়ক ফইজ ফজল প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু ব্যাট করতে নেমে দ্রুত ৪ উইকেট হারিয়ে বিদর্ভ প্রথম থেকেই চাপে পড়ে। অম্বাতি রায়াডু (১৮) অভিষেক চৌরাসিয়া (২৪) কেউই এদিন দাঁড়াতে পারেনি ঝাড়খন্ডের বোলিংয়ের সামনে। শেষে রবি জাঙ্গিডের ৬২ রানে বিদর্ভ কোনওমতে ১৫৯ রানে তাঁদের ইনিংস শেষ করে। এদিন ঝাড়খন্ডের হয়ে সবথেকে ভাল বল করে শাহবাজ নাদিম। ৮ ওভারে মাত্র ১৩ রান দেন তিনি। নেন একটি উইকেট।
স্পিনকে মোকাবিলা করার জন্য সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের পরামর্শ নিক ওয়ার্নার, মত ক্লার্কের
ঝাড়খন্ড ব্যাট করতে নেমে দেবুতন্ত প্রত্যুষ সিংহ ও ঈশান কিশান এর ৬৮ রানের পার্টনারসিপে প্রথম থেকেই শক্ত ভিতের উপরে চলে আসে। পরে মিডল ওর্ডারের ভাল প্রদর্শনে জয়ের দিকে এগিয়ে যায় ঝাড়খন্ড। তবে যে দলের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, তাঁদের জয় যে এভাবে বর্ণহীন হবে তাকি আশা করা যায়! প্রায় এক তরফা ম্যাচে উত্তেজক মুহুর্ত আনে ধোনি নিজেই। ঝাড়খন্ডের জয়ের জন্য মাত্র ৫ রান বাকি ছিল। মাহি নিজের কায়দায় বিশাল একটা ছয় মেরে ঝাড়খন্ডকে সেমিফাইনালে নিয়ে যায়। আরও একবার ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালের সেই বিশেষ দৃশ্যের স্মৃতি উসকে দেয় মাহি। ঠিক এমনই একটা ওভার বাউন্ডারির জন্যই সেদিন আবারও বিশ্বে সেরা হয়েছিল ভারত।