আইপিএল নিয়ে সিদ্ধান্ত ঝুলে রইল। কারণ আইপিএলে প্লেয়ারদের ধরে রাখা নিয়ে নিজেদের ভিতরই একমত হতে পারলেন না ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকেরা। এখনও প্রায় তিন মাস বাকি আইপিএলে প্লেয়ারদের নিলাম হতে। তবে নিলামের আগে গত মঙ্গলবার এই নিলাম সংক্রান্ত বিষয় নিয়েই আলোচনায় বসেছিল আইপিএল কমিটি। কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের মত পার্থক্যে সেখানে কোনো সিদ্ধান্তে আসা যায় নি। মঙ্গলবারে অনুষ্ঠিত ওই মিটিংয়ে কলকাতার তরফে শাহরুখ খান ও জয় মেটা, মুম্বাইয়ের তরফে আকাশ আম্বানি, পাঞ্জাবের তর নেস ওয়াদিয়া ও মোহিত বর্মন এবং রাজস্থানের তরফে মনোজ বাদালে উপস্থিত ছিলেন। আইপিএলে প্লেয়ায়র ধরে রাখার বিষয়টিই এই মিটিংয়ের মুল আলোচ্য বিষয় ছিল। ওই মিটিংয়ে আইপিএল গভর্নিং বর্ডি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির কাছে সাজেশন রেখেছিল দলে ৩ জন করে ক্রিকেটারকে ধরে রাখতে। কিন্তু তা মানতে চাননি অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি। মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ও চেন্নাই সুপার কিংস চাইছে দলে পাঁচ এবং চারজন প্লেয়ায়রকে ধরে রাখতে।
আবার আরেকদিকে কোনো প্লেয়ারকে ধরে রাখার পক্ষপাতি নয় কেকেআর। অন্য দিকে পাঞ্জাব এবং রাজস্থান এই দুটি দলই চাইছে নতুন করে দল গড়তে। আরেকদিকে আবার হায়দ্রাবাদ এবং বেঙ্গালুরুর মত দল চাইছেন ৩ জন করে প্লেয়ার ধরে রাখতে।
এদিকে আইপিএল গর্ভনিং বডির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০১৫য় তাদের দলে থেকে প্লেয়ার ধরে রাখতে পারবে দু’বছরের নির্বাসন কাটিয়ে ফেরা চেন্নাই ও রাজস্থান। আর মুম্বাই চাইছে তাদের গুরুত্বপূর্ণ প্লেয়ার রোহিত শর্মা, হার্দিক পাণ্ড্য, জসপ্রীত বুমরাহ, কেরন পোলার্ড, ক্রনাল পাণ্ড্য হরভজন সিংহকে ধরে রাখতে। আর চেন্নাইয়ের দাবি অনুযায়ী তারা চাইছে তাদের ২০১৫য় তাদের অধিনায়ক এমএস ধোনি সহ রবীন্দ্র জাদেজা, সুরেশ রায়না, ফাক দু’প্লেসি এবং ব্রেন্ডন ম্যাকালামের মত খেলোয়াড়দের ধরে রাখতে।
শুধু যে প্লেয়ারদের ধরে রাখার প্রশ্নে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকেরা দ্বিধাবিভক্ত তা নয়। আইপিএলে প্লেয়ারদের স্যালারি ক্যাপ সহ অন্যান্য বিষয় নিয়েও তারা দ্বিমত আইপিএলের গভর্নিং বডির সঙ্গে। কলকাতা, পাঞ্জাব এবং বেঙ্গালুরুর মত দল চাইছে স্যালারি ক্যাপের ক্ষেত্রে তাদের টাকা বাড়িয়ে ৭০-৮- কোটির মত করা হোক। ২০১৭তে এই বাজেট ছিল৬৩ কোটি। সমস্যা রয়েছে রাজস্থানের হোম গ্রাউন্ড ঠিক করা নিয়েও। আপাতত সিদ্ধান্ত হয়েছে এই সমস্ত সমস্যা নিয়ে ফাইনাল সিদ্ধান্ত হবে আগামি ৯ ডিসেম্বরের বিশেষ সাধারণ সভায়।