এই মুহুর্তে অস্ট্রেলিয়ায় লম্বা সফরের জন্য ভারতীয় দল গেলেও দেশে এই মুহুর্তে আরও বড় খেলা চলছে ভারতীয় ক্রিকেটে। ক্ষমতার লড়াই, আসনরক্ষার লড়াই – আর এই লড়াইয়ে এবার জড়িয়ে পড়েছে খোদ সুপ্রিম কোর্ট। বিসিসিআই এর প্রেসিডেন্ট হিসেবে সৌরভ গাঙ্গুলি এবং সচিব হিসেবে জয় শাহের মেয়াদ বৃদ্ধি হবে কি না, সেই নিয়ে আগামী ৯ ডিসেম্বর রায় জানাবে দেশের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্ট নির্ধারিত লোধা কমিটির নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা এবং ভারতীয় ক্রিকেট সংস্থায় সব মিলিয়ে যদি ছয় বছর পদে আসীন থাকেন কেউ, তাহলে ছয় বছর পূর্ণ হলে আগামী তিন বছর কুলিং অফ অর্থাৎ বিরতিতে যেতে হয় সেই ব্যক্তিকে। সেই নিয়ম অনুযায়ী, বাংলার ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের প্রেসিডেন্ট এবং বিসিসিআই এর প্রেসিডেন্ট হিসেবে ছয় বছর অতিক্রম করেছেন সৌরভ গাঙ্গুলি। অন্যদিকে গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট এবং বিসিসিআই এর সচিব হিসেবে ছয় বছর অতিক্রম করেছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছেলে জয় শাহ। এর ফলে কুলিং অফ পিরিয়ডে যেতে হবে সৌরভ এবং জয়কে।
যদিও গত ২১ এপ্রিল বিসিসিআই এর তরফ থেকে সুপ্রিম কোর্টে দেশের প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোরদে ও বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাওয়ের ডিভিশন বেঞ্চ বোর্ডে আবেদন করা হয় মেয়াদ বাড়ানোর। পরে গত ২২ জুলাই সেই আবেদন মঞ্জুর করা হয় সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে। এবার বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাওয়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছেন, আগামী বুধবার অর্থাৎ ৯ ডিসেম্বর বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি এবং সচিব জয় শাহের ভবিষ্যৎ সংক্রান্ত মামলা নিয়ে চুড়ান্ত শুনানি করা হবে।
চলতি বছরের গত ২৭ জুলাই মেয়াদ শেষ হয় প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলির, অন্যদিকে গত ৭ মে মেয়াদ শেষ হয় সচিব জয় শাহের। বর্তমানে তারা সুপ্রিম কোর্টের রায় অবধি অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্বে রয়েছেন। যদি সুপ্রিম কোর্ট মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়ে সম্মতি দেয়, তাহলে আগামী ২০২৫ সাল অবধি বিসিসিআই এ নিজেদের পদে আসীন থাকবেন সৌরভ গাঙ্গুলি এবং জয় শাহ।