ওয়েস্টইন্ডিজের প্রাক্তন অধিনায়ক আর নিজের দলকে দুবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করা ড্যারেন স্যামিকে পাকিস্তান এক বড়ো সম্মান জানাতে পারে। ড্যারেন স্যামিকে রবিবার পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ডক্টর আরিফ আলভি নিজের দেশের সর্বোচ্চ পুরস্কার দেবেন, সেই সঙ্গেই তাকে পাকিস্তানের নাগরিকত্বও দেওয়া হবে। ড্যারেন স্যামিকে এই সম্মান পাকিস্তানের ক্রিকেটে তার যোগদানের জন্য দেওয়া হচ্ছে।
পাকিস্তানে ক্রিকেটকে ফিরিয়ে আনতে করেছেন বড়ো যোগদান
ড্যারেন স্যামি সেন্ট লুসিয়ার বাসিন্দা আর তিনি পাকিস্তানে ক্রিকেটকে ফিরিয়ে আনতে সবসময় প্রচেষ্টা করেছেন। পাকিস্তান সুপার লীগের দ্বিতীয় মরশুমে যখন কেউ পাকিস্তানে যেতে প্রস্তুত ছিলেন না তখন স্যামি সেখানে যান আর তিনি নিজের দল পেশোয়ার জালমিকে জয়ও এনে দিয়েছিলেন। ড্যারেন স্যামি পেশোয়ার জালমি দলের অধিনায়কও। এটাই কারণ যে পাকিস্তানে মানুষ তাকে যথেষ্ট পছন্দ করেন।
পিএসএল খেলতে সবার আগে পৌঁছন স্যামি
পাকিস্তান সুপার লীগের বর্তমান মরশুমেও ড্যারেন স্যামি ৩৬জন বিদেশী খেলোয়াড়ের মধ্যে সবার আগে পাকিস্তানে পৌঁছেছিলেন। স্যামি পাকিস্তানে পৌঁছেই বলেছিলেন, “আমি নিজের কেরিয়ারে দেশে আর বিদেশে ম্যাচ খেলেছি। আমি জানি যে প্রত্যেকটা দেশের সমর্থকরা নিজেদের ক্রিকেট খেলোয়াড়দের নিজেদের দেশে খেলতে দেখতে চান আর পাকিস্তান দীর্ঘ সময় পর্যন্ত এর থেকে দূরে থেকেছে”।
ড্যারেন স্যামির ক্রিকেট বিশ্বে সম্মান
স্রেফ পাকিস্তানেই নয় ড্যারেন স্যামিকে বিশ্বজুড়ে যথেষ্ট সম্মান করা হয়। ড্যারেন স্যামি ২০০৪এ ওয়েস্টইন্ডিজের হয়ে ডেবিউ করেছিলেন আর সেন্ট লুসিয়া আইল্যান্ড থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা প্রথম খেলোয়াড়। ড্যারেন স্যামি নিজের অধিনায়কত্বে ওয়েস্টইন্ডিজকে দুবার টি-২০ বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন। ২০১২য় আর ২০১ঁয় ওয়েস্টইন্ডিজ শ্রীলঙ্কা আর ইংল্যান্ডকে হারায় আর ড্যারেন স্যামি প্রথম অধিনায়ক হন যিনি দুবার টি-২০ বিশ্বকাপ জিতেছেন। ২০১৬য় ওয়েস্টইন্ডিজ দল থেকে বাদ পড়া ড্যারেন স্যামি যতই ওয়েস্টইন্ডিজকে দুবার টি-২০ বিশ্বকাপ জিতিয়ে থাকুন কিন্তু তা সত্ত্বেও তাকে দল থেকে হঠাত করে বাদ দেওয়া হয় আর এরপর তিনি কখনো দলে ফিরে আসতে পারেননি। ২০১৬ টি-২০ বিশ্বকাপের পর ওয়েস্টইন্ডিজের দলকে ভারতের বিরুদ্ধে ২ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলতে হত কিন্তু ওয়েস্টইন্ডিজের নির্বাচকরা না শুধু তাকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেন বরং তাকে দলেও জায়গা দেননি।
ড্যারেন স্যামির কেরিয়ার
ড্যারেন স্যামির কেরিয়ারের কথা বলা হলে তিনি ৩৮টি টেস্টে ২১.৬৮র গড়ে ১৩২৩ রান করেছেন। ১২৬টি ওয়ানডেতে তার ব্যাট থেকে ১৮৭১ রান বেরিয়েছে। সেই সঙ্গে টি-২০ ক্রিকেটে তিনি ৫২টি ইনিংসে ৫৮৭ রান করেছেন। স্যামির নামে টেস্টে ৮৪টি, ওয়ানডেতে ৮১টি আর টি-২০তে ৪৪টি উইকেট রয়েছে।