অবশেষে এক সাহসী সিদ্ধান্তে পুনের প্রথম টেস্ট ম্যাচের কালিমা কিছুটা মুছতে চাইছে বিসিসিআই। পুনের আত্মঘাতী পিচের জন্য বোর্ড ছাঁটাই করারই সিদ্ধান্ত নিল বিসিসিআইয়ের প্রধাণ পিচ কিউরেটর দলজিৎ সিংহকে।
পাঁচদিনের হাই ভোল্টেজ টেস্ট ম্যাচ মাত্র আড়াইদিনে শেষ হওয়াতে বিশ্ব ক্রিকেট মহলে যথেষ্ঠ মুখ পুড়েছে বিসিসিআইয়ের। বিশেষ করে ভারত যখন টেস্ট ক্রিকেটে এক নম্বর দল। এই পরাজয় কিছুতেই মেনে নেওয়া যাচ্ছিল না। ফলে সরকারিভাবে বিসিসিআইকে চরমভাবে অপমানিত হতে হয়েছিল। পিচ কিউরেটরের ছাঁটাইয়ের মাধ্যমে সেই কালিমা কিছুটা ঢাকতে চাইছে বোর্ড। একবার নয়, এর আগেও দলজিৎ সিংয়ের বিরুদ্ধে খারাপ পিচ বানানো অভিযোগ উঠেছিল। দু’বছর আগে নাগপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে টেস্টেও একইভাবে বেকায়দায় পড়তে হয়েছিল বোর্ডকে। কাজেই দলজিৎকে আর রেয়াত না করারই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পুনের ঘটনা নিয়ে প্রথমে বাপবাপান্ত করা হয়েছিল মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রধাণ পিচ কিউরেটর পাণ্ডুরঙ্গ সালগাঁওকারকে। সেই চাপ সামলাতে না পেরে তিনি মুখ খোলেন ও নাম না করেই গরল উগরে দেন দলজিতের বিরুদ্ধে। এরপর ম্যাচ রেফারির জমা দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে আইসিসি বোর্ডকে নোটিস পাঠিয়ে এমন নিম্নমানের পিচ বানানোর জন্য কারণ জানতে চায়। কার্যত ঘরে বাইরে কোণঠাসা হয়ে পড়ে বিসিসিআই।
এরপরই এই সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হয় বোর্ড। সূত্রের খবর, আগামী দু তিন দিনের মধ্যেই পাকাপাকিভাবে প্রধাণ পিচ কিউরেটরের পদ থেকে দলজিৎকে ছাঁটাই করা হতে পারে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বোর্ডের এক আধিকারিক বলেন, “ভারতীয় দলের পক্ষ থেকে কোনও অনুরোধ করা হলে দলজিৎ সিংহ সহজেই সেই অনুরোধ উপেক্ষা করে যেতে পারতেন। সরকারিভাবে কোনও দলই পিচ কিউরেটরের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারেনা।”
বিসিসিআইয়ের এই আধিকারিক মেনে নিয়ে বলেন, “নাগপুর ও পুনের পিচ যথেষ্ঠ নিম্নমানের ছিল এতে কোনও সন্দেহ নেই।”