অনুর্ধ উনিশ ভারতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে চলা একটি ত্রিদেশীয় সিরিজে সুযোগ পেয়েছিলেন জম্মু- কাশ্মীরের তরুণ পেসার রাসিক সালাম। তার আগেই বছর দুয়েকের জন্য তাকে নির্বাসিত করলো ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।তার বিরুদ্ধে জালি জন্মশংসাপত্র দেওয়ার অভিযোগ ওঠায় এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নিলো বিসিসিআই।প্রসঙ্গত , সালামের বদলে দলে সুযোগ পেয়েছেন প্রভাত মৌর্য।
এবছর আইপিএলেও খেলতে দেখা গেছে সালামকে।এবছরের চ্যাম্পিয়ান মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে আইপিএল ডেবিউ করেছিলেন এই তরুণ ক্রিকেটার দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে।প্রসঙ্গত,তিনি তৃতীয় জম্মু- কাশ্মীরের ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএলে খেলার কৃতিত্ব অর্জন করলেন, এর আগে এমন কৃতিত্ব ছিলো শুধুমাত্র দুই জনেরই, তারা হলেন মানজুর দার এবং পারভেজ রাসুল।যদিও সেই ম্যাচে দিল্লির কাছে হেরে গেছিলো মুম্বাই।ম্যাচেও বিশেষ কিছু করে উঠতে পারেনি সালাম।চার ওভার বল করে ৪২ রান দিয়েছিলেন তিনি।পান নি কোনও উইকেট।
দক্ষিণ কাশ্মীরের প্রত্যন্ত একটি গ্রাম আশমুজি তে বেড়ে ওঠা এই ক্রিকেটারকে এবছর নিলামে ২০ লক্ষ টাকায় দলে নিয়েছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছিল তার বিরুদ্ধে একটি চাঞ্চল্যকর খবর।জম্মু কাশ্মীরের শিক্ষা পর্ষদের তরফে ক্রিকেট বোর্ড কে জানানো হয় তার বয়সের শংসাপত্রে অসঙ্গতি আছে।এরপর জম্মু কাশ্মীর এবং ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেন এবং শেষ অবধি তাকে দুবছর নির্বাসিত করেন ক্রিকেট থেকে।
প্রসঙ্গত, ভারতীয় ক্রিকেট মহলে বয়স ভাড়িয়ে খেলার অভিযোগ এই প্রথম নয়।এর আগেও একাধিক ক্রিকেটারকে এই ভুল পথ অবলম্বন করতে দেখা গেছে , এক্ষেত্রে সাম্প্রতিক উদাহরণ হিসেবে অনুকূল রায়ের নাম নেওয়া যেতে পারে।যদিও এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখে পরবর্তী সময়ে কোনো ক্রিকেটার এমন কিছু করার আগে ভাববে বলেই আশা রাখা যায়।
সাম্প্রতিক সময়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে ছাপ ফেলেছিলেন সালাম।ঘরোয়া ক্রিকেটে তার দুরন্ত ক্রিকেট প্রতিভা চোখ ধাঁধিয়ে ছিলো সকলের।এখনো অবধি এই তরুণ ক্রিকেট প্রতিভা খেলেছেন দুটো প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট ম্যাচ,এবং বেশ কিছু টি টোয়েন্টি।