অন্য মেজাজে ইংলিশ এই তারকা, যুবরাজের সঙ্গে ঠাট্টায় মজলেন 1
যুবরাজ সিংহ

নব্বইয়ের দশকে ক্রিকেটারদের একে অপরের দিকে কাদা ছোড়াছুড়ি করতে হলে মূল মাধ্যমই ছিল সাংবাদিক বৈঠক। তখনকার প্রযুক্তি এতটাও উন্নত ছিলনা। তাই গালিগালাজ করার জন্যও রীতিমত বেগ চেপে রাখতে হোত, কখন সংবাদমাধ্যমের সামনে আসব ও নিজের রাগ মেটাব। এখনকার দিনে দ্রুত প্রযুক্তির উন্নতিতে বেগ চেপে রাখতে হয় না আর। স্যোশাল মিডিয়ার দৌলতে মনের রাগ সঙ্গে সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারের প্রোফাইলের ওয়ালে উগরে দিলেই কাজ শেষ। একের পর এক প্রত্যুত্তরে মাঠের বাইরের এই খেলাও জমে ওঠে ভাল। যার দিকেই এখন কড়া নজর থাকে সাংবাদিকদের। টুইটারে ঝগরা, কাঁদা ছোড়াছুড়ির কথা এখন অহরহ শোনা যায়। তবে এবার যে দুজন ক্রিকেটারের বিষয়ে শোনা গেল তা ঠিক প্রত্যাশিত নয়।

এবছর আইপিএল না খেললেও, নিজের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছেন ইংল্যান্ডের কেভিন পিটারসন। একজন ধারাভাষ্যকার হিসেবে। এই ভূমিকায় তিনি বেশ মজায় আছেন তারও প্রমান মিলেছে। পুনে বনাম আরসিবি-র ম্যাচে তিনি ধোনির সঙ্গে খুনসুটি করছিলেন। এবার লাগলেন যুবরাজ সিংহের পিছনে।

অন্য মেজাজে ইংলিশ এই তারকা, যুবরাজের সঙ্গে ঠাট্টায় মজলেন 2
যুবরাজ সিং এবং কেভিন পিটারসেন

২০০৮ সালে ইংল্যান্ডের সঙ্গে টেস্ট সিরিজে যুবিকে ‘পাইচাকার্স’ বলে সম্বোধন করে কেভিন। তবে এখন এই দুই সমসাময়িক বেশ ভাল বন্ধু। চলতি বছরের প্রথমদিকে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দারুন এক শতরান করার পর পিটারসন তাকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠায়। তিনি যুবির উদ্দেশ্যে টুইটারে লেখেন, “খুব ভাল বন্ধু। সমস্ত ভালবাসা মেলবোর্ন থেকে আসছে।”

এভাবেই যুবির প্রশংসা করার পর ঠাট্টা করতেও ছাড়েননি তিনি। এবার সেই ঠাট্টার পালটা জবাব দিলেন যুবি। ৯ই এপ্রিল গুজরাট লায়ন্স ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ম্যাচের দিন ধারাভাষ্যকার কেভি পিটারসন, হলুদ রঙের মোজা পরেছিলেন। সেই নিয়ে কেভিনের সঙ্গে ঠাট্টা করেন যুবি। তিনি টুইটার লেখেন, “হলুদ রঙের মোজা পড়ে দারুণ লাগছে বন্ধু। আশাকরি ভালো আছ। তোমার স্নেহের ‘পাই-চাকার’।”

পিটারসনও মজা করে যুবিকে উত্তর দেন, “লাভ ইউ, কিন্তু তোমার বোলিংকে নয়।”

পাই-চাকার বলার পর যুবি মুখে কিছু না বলে তাঁর বোলিং-এর মাধ্যমে প্রতিশোধ নেন। তারই ফল স্বরূপ পিটারসনকে পাঁচবার আউট করেন তিনি। তাই এদিন কেভিন সেটা নিয়েই মজা করলেন।

নিখাত মজার এই ঘটনা দেখে আজও বোঝা যায় পিটারসন ও যুবরাজের মধ্যে বন্ধুত্ব কতটা পাকা। মাঠের মধ্যে যাই হোক না কেন, মাঠের বাইরে তাঁরা প্রাণের বন্ধু।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *