করোনা ভাইরাসের কারণে পুরো বিশ্বে হাহাকার ছড়িয়ে পড়েছে। এই মহামারীর কারণে সমস্ত ক্রিকেটের ইভেন্ট হয় বাতিল করে দেওয়া হয়েছে নয়ত তা স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। বিশ্বজুড়ে তান্ডব করা করোনা ভাইরাসের কারণে ফান্ড সংগ্রহ করার জন্য কিছুদিন আগে শোয়েব আকতার ভারত-পাকিস্তান সিরিজ করানোর রায় দিয়েছিলেন। কিন্তু ভারতীয় দলের তারকা স্পিনার এখন তাকে কড়া জবাব দিয়েছেন।
শোয়েব আকতারকে হরভজনের জবাব
বিশ্বজুড়ে ছড়ীয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের কারণে ভারত এবং পাকিস্তানও ভীষণভাবে সংঘর্ষ করছে। এর জন্য সেলিব্রেটিরা এবং খেলোয়াড়রা এগিয়ে এসে ফান্ড ডোনেট করছেন। এখন হরভজন সিং কথায় কথায় শোয়েব আকতারকে জবাব দিয়ে আইএএনএসকে বলেছেন,
“এই সময় আমার মাথায় ক্রিকেট সবচেয়ে শেষ বিষয়। আমি এর ব্যাপারে ভাবছিও না। ফাণ্ড সংগ্রহ করার আরো অনেক উপায় রয়েছে। জরুরী নয় যে এর জন্য ম্যাচ খেলা হোক। আমার মনে হয়না যে এই সময় কেউই ক্রিকেট বা খেলার ব্যাপারে ভাববে। এটা যথেষ্ট ছোটো ব্যাপার। এই সময় জীবন বাজি রয়েছে। হ্যাঁ ক্রিকেট আমাদের অনেক কিছু দিয়েছে। আমি আজ যা কিছু সেটাও ক্রিকেটেরই কারণে। কিন্তু এই সময় ক্রিকেটের কথা বলার নয়। আমরা মানুষের সাহায্য কীভাবে করতে পারি এই সময় এই বিষয়ে কথা বলা পছন্দ করব”।
আকতার কী বলেছিলেন?
পাকিস্তানেও করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতি যথেষ্ট গুরুতর হয়ে উঠেছে। সেখানে প্রায় ৮ হাজার মানুষ সংক্রামিত হয়েছেন। অন্যদিকে প্রাক্তন পাকিস্তানী ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদি, শোয়েব আকতার দেশের এই মুশকিল সময় ফান্ড সংগ্রহ করার লড়াইতে নেমেছেন। শোয়েব আকতার ফান্ড সংগ্রহ করা নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছিলেন,
“এই দুই দেশের ম্যাচ দেখার জন্য বড়ো সংখ্যক মানুষ একজুট হন। দুই দেশ প্রথমবার একে অপরের জন্য খেলুক। আর যে অর্থ একত্রিত হবে তা সমান সমান ভাগ করে পীড়িতদের সাহায্যের জন্য খরচা করা হোক। আমি স্রেফ এই প্রস্তাব দিতে পারি, বাকি সিদ্ধান্ত নেওয়া ম্যানেজমেন্টের কাজ”।
আইপিএল ২০২০, বিশ্বকাপ বাতিল হলে কী হবে?
করোনা ভাইরাসের গুরুত্বকে দেখে ভারতে ৩ মে পর্যন্ত লকডাউনকে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পুরো বিশ্বের মতো ভারতেও করণা ভাইরাসের সংক্রামণ দ্রুতগতিতে বেড়ে চলেছে। এই কারণে বিসিসিআই আইপিএল ২০২০কে অনিশ্চিতকালের জন্য স্থগিত করে দিয়েছে। এখন হরভজন সিং আগে বলেন যে,
“এক আইপিএল আর এক বিশ্বকাপ…যদি এই বছর না হয় তো এতে কী প্রভাব পড়বে? কিন্তু যদি এই ব্যাপারটা চলতে থাকে তো আমাদের জীবনই শেষ হয়ে যাবে। আমরা সবকিছুকেই হালকাভাবে নিচ্ছি। কিন্তু এই রোগটি আমাদের প্রত্যেকটা ছোটো ছোটো জিনিসের জন্য কৃতজ্ঞ থাকতে শিখিয়েছে। এখন বাড়িতে খাবার তৈরি হলে ভাবি যে চলো খাবার তো রয়েছে। যদি আপনি সুস্থ না থাকেন তো আপনি নিজের টাকা, গাড়ি, বাড়ি দিয়ে কী করবেন”।