রবি শাস্ত্রীকে গত মাসেই দ্বিতীয়বারের জন্য ভারতীয় দলের প্রধান কোচ নিযুক্ত করা হয়েছিল। অনিল কুম্বলের সরে যাওয়ার পর ২০১৭য় তাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আর দল তারপর ভাল প্রদর্শন করেছে। বিশ্বকাপে যতই দল সেমিফাইনালে ছিটকে যাক কিন্তু কপিলদেব, অংশুমান গায়কোয়াড় আর শান্তা রঙ্গাস্বামীর সিএসি তাকে আবারো নতুন কোচ নিযুক্ত করেন।
কনফ্লিক্টস অফ ইন্টারেস্টের মামলা
সিএসির সদস্য কপিলদেব, অংশুমান গায়কোয়াড় আর শান্তা রঙ্গাস্বামীকে কনফ্লিক্টস অফ ইন্টারেস্টের মামলায় ফাঁসতে দেখা যাচ্ছে। মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য সঞ্জীব গুপ্তা এদের নিয়ে লোকপালে অভিযোগ করেছিলেন। তার অভিযোগের পর বিসিসিআইয়ের লোকপাল ডিকে জৈন এই তিনজনকে নোটিশ পাঠিয়েছে। কপিলদেব, অংশুমান গায়কোয়াড়, আর শান্তা রঙ্গাস্বামীর কাছে ডিকে জৈনকে জবাব দেওয়ার জন্য ১০ অক্টোবর পর্যন্ত সময় রয়েছে।
রবি শাস্ত্রীর জায়গা নিয়েও বিপদ
সিএসি রবি শাস্ত্রীকে নিযুক্ত করেছিল আর এখন যদি তাদের কনফ্লিক্টস অফ ইন্টারেস্টের মামলায় দোষী পাওয়া যায় তো শাস্ত্রীর জায়গায় নিয়েও বিপদ চলে আসবে। এ ব্যাপারে জানাতে গিয়ে বিসিসিআইয়ের এক আধিকারিক আইএএনকে জানিয়েছেন,
“শাস্ত্রীর প্রধান কোচ হিসেবে নিযুক্তি স্পষ্টরূপে আরো একবার আবারো করতে হবে, যদি তাকে নিযুক্ত করা তিন সদস্যের কমিটির মেম্বারদের কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্টে পাওয়া যায়। তারপর একটা নতুন সমিতি গঠন করা হবে আর পুরো প্রক্রিয়াকে আবারো করা উচিৎ আর নতুন পঞ্জীকৃত বিসিসিআই সংবিধানকে ধ্যান রেখে করা উচিৎ কারণ সংবিধান এখন স্পষ্টভাবে বলে যে খালি সিএসি ভারতীয় দলের প্রধান কোচকে নিযুক্ত করতে পারে।”
সমস্ত প্রক্রিয়া করতে হবে
রবি শাস্ত্রীকে তার পদ থেকে যদি সরানো হয় তাহলে আবারো কোচ নির্বাচন করার প্রক্রিয়া করতে হবে। এর জন্য নোটিশ দিতে হবে, নতুন আবেদন আসবে আর সেই সঙ্গে নতুন সিএসির নিযুক্তি করতে হবে। তারা ফের নতুন কোচ বাছবেন। এর প্রভাব দলের খেলাতেও পড়তে পারে।