আইসিসি সময়ে সময়ে নিয়মের ফেরবদল করতে থাকে। এই তালিকায় আইসিসি দ্রুতই আগে নো বলে সিদ্ধান্ত মাঠের অ্যাম্পায়ারের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে টিভি অ্যাম্পায়ারকে সেই দায়িত্ব দিতে চলেছে। যদিও এখনো এটার পরিক্ষা করা হচ্ছে, কিন্তু যদি এই পরীক্ষা সফল থাকে তো ভবিষ্যতে টিভি অ্যাম্পায়ারই সামনের পায়ের নো বলের সিদ্ধান্ত নেবেন।
আগামী ৬ মাস আইসিসি করবে পরীক্ষা
আইসিস আগামী ৬ মাস সীমিত ওভারের কিছু সিরিজে এই নতুন ব্যবস্থার পরীক্ষণ করবে, আর যদি এটা সফল হয় তো তারপর মাঠের অ্যাম্পায়ারদের কাছ থেকে সামনের পায়ের নো বল ডাকার অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হবে। অলারডাইস ইএসপিএন ক্রিক ইনকোকে বলছেন,
“হ্যাঁ, এমনটাই। তৃতীয় অ্যাম্পায়ারকে সামনের পা পোড়ার কিছু সেকেন্ড পরের ছবি দেওয়া হবে। তিনি মাঠের আম্পায়ারকে জানাবেন যে নো বল করা হয়েছে”।
২০১৬তেও হয়েছিল এর পরীক্ষা
আপনাদের জানিয়ে দিই যে এই টেকনিক এর আগে ২০১৬য় ইংল্যান্ড আর পাকিস্তানের মধ্যে ওয়ানডে সিরিজেও পরীক্ষা করা হয়েছিল। সেই সময় তারপর এই পরীক্ষ্ণ প্রক্রিয়াকে আগে এগোনো হয়নি। যদিও আইসিসি আবারো এটা পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আইসিসির ক্রিকেট কমিটি একে সীমিত ওভারের যত বেশি সম্ভব ম্যাচে ব্যবহার করার সুপারিশ করেছে।
অ্যাম্পায়ারিংয়ের পড়তি স্তর
ক্রিকেট না কেবল একটা খেলা বরং মানুষের পাগলামীতে পরিণত হয়েছে। এই কারণে যদি কোন ম্যাচে অ্যাম্পায়ারিংয়ে সামান্য ভুলত্রুটি দেখা যায় তো তার লোকসান যতই খেলোয়াড়দের ভুগতে হোক কিন্তু সমর্থকদের রাগ সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনারা পরিস্কার দেখতে পারেন। সম্প্রতিই শেষ হওয়া আইসিসি বিশ্বকাপে আইপিএলে বা ইংল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে চলতি অ্যাসেজ সিরিজে এই ধরণের ভুল দেখা যাচ্ছে যে কারণে খেলোয়াড়দের লোকসানে পড়তে হচ্ছে।
বিশ্বকাপে অনফিল্ড অ্যাম্পায়ার কুমার ধর্মসেনার একটি ভুল ম্যাচের বিজেতাই বদলে দিয়েছিল। অতিরিক্ত পাওয়া এক রানের কারণে নিউজিল্যাণ্ডের হাতে আসা বিশ্বকাপ হাতছাড়া হয়। এটাই একমাত্র উদাহরণ নয় এমন হাজারো উদাহরণ সামনে রয়েহচে যেখানে অ্যাম্পায়ারকে ভুল সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গেছে। যদি নো বলের কথা ধরা হয় তো নো বলে দেওয়া ভুল সিদ্ধান্তে আইসিসি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে মহেন্দ্র সিং ধোনি যে বলে আউট হয়েছিলেন সেটাও নো বল ছিল। অন্যদিকে আইপিএলে তো নো বল নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক উঠেছিল।