গুঞ্জনের শুরুটা হয় চলতি বছরের ২৯ মে থেকে। হুট করেই বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী ঘোষণা দেন মাশরাফি এবং সাকিব জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমানে ক্ষমতায় থাকা সরকারি দল আওয়ামী লীগের হয়ে অংশ নিবেন। যে খবরটি শুধু ক্রিকেট পারা নয় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবেও। আইসিসি ও বিসিবির সাবেক সভাপতি এবং বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় পরিকল্পনামন্ত্রী তখন জানিয়েছিলেন,“নড়াইল থেকে নির্বাচন করবেন মাশরাফি! তবে মাশরাফির নির্বাচনী আসন কোনটি হবে সে বিষয়ে আমি কিছু বলবো না। আগামী নির্বাচনে সবাই তাকে সহায়তা করবেন। কোন আসন থেকে নির্বাচন করবেন সেটি এখন বলা যাবে না।”
তবে এবার আর গুঞ্জন নয় সরকার দলীয় রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এবার আনুষ্ঠানিকভাবেই জানানো হয়েছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য ১১ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে আওয়ামী লীগের পক্ষেই মনোনয়ন নেবেন সারা বিশ্বে ক্রিকেট ফেরি করে বেড়ানো টাইগারদের টেস্ট ও টি-২০ ক্যাপ্টেন সাকিব আল হাসান এবং ওয়ানডে ক্যাপ্টেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।
আজ শনিবার (১০ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া মাশরাফি এবং সাকিবের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে ঝেরে কাশেন। তিনি জানান, মাশরাফি ও সাকিব রোববার (১১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মনোনয়ন ফরম কিনতে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে আসবেন বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সাকিব এবং মাশরাফি ওবায়দুল কাদেরকে ফোন করেছিলেন। মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের ব্যাপারে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে আজ তাদের কথা হয়েছে।
অন্যদিকে সাকিব এবং মাশরাফির নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়টি সংবাদের শিরোনাম হবার পর থেকেই সরব হয়ে উঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো। পাশাপাশি ক্রিকেট বোর্ডের কর্তাদেরও মুখোমুখি হতে হচ্ছে সংবাদ মাধ্যমের। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জ্বালাল ইউনুস মাশরাফি-সাকিবের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ব্যাপারে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ‘ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফির মনোনয়ন কেনার বিষয়টি শোনেছি। কিন্ত সাকিবের বিষয়টি আমার জানা নেই।’